পাঠ্যপুস্তকে বাদ মুঘল সাম্রাজ্য 'ইতিহাস'! নিন্দার ঝড় বাংলার শিক্ষামহলে । সংগৃহীত ছবি
উত্তরপ্রদেশের দ্বাদশ শ্রেণির ইতিহাসের পাঠ্যবই থেকে মোগল সাম্রাজ্যের অধ্যায় বাদ দিয়েছে যোগী আদিত্যনাথ সরকার। ন্যাশনাল কাউন্সিল অব এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং(এনসিইআরটি)-এর পরামর্শ মেনেই এই সিদ্ধান্ত বলে প্রশাসন জানিয়েছে। তবে শুধু বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশে নয়, সিবিএসই-র পাঠ্যক্রমেও মোগল আমল সম্পর্কে কিছুই থাকবে না বলে খবর। চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকেই এই নতুন সিলেবাস চালু হচ্ছে।
এনসিইআরটি ঘোষণা করেছে, দ্বাদশ শ্রেণির ইতিহাসের পাঠ্যসূচিতে আর পড়তে হবে না মুঘল সাম্রাজ্য নিয়ে। ইতিহাস বই থেকে প্রায় ৫০০ বছরের অধ্যায় এককোপে বাদ। অর্থাৎ এখন থেকে দেশের যে সব স্কুলে ন্যাশানাল কাউন্সিল অফ এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং এর বই পড়ানো হয়, সেখানে ইতিহাসের পাঠ্যপুস্তক থেকে বাদ পড়ল মুঘল যুগ।
শুধু তাই নয়, পাঠক্রম থেকে বাদ পড়ছে শিল্পবিপ্লব, জনপ্রিয় সংগ্রাম ও আন্দোলন, গণতন্ত্র ও বহুত্ববাদ, গণতন্ত্রের বিপদ সংক্রান্ত আলোচনার মতো বেশ কিছু অধ্যায়। বাদ পড়ছে হিন্দি পাঠ্যপুস্তক থেকেও বেশ কিছু কবিতা ও অনুচ্ছেদ। ইতিহাস ও হিন্দি বই ছাড়া, দ্বাদশ শ্রেণির 'সিভিকস' বইয়ের বেশ কিছু বিষয় পরিবর্তন করছে এনসিইআরটি।
গেরুয়া শিবিরের নেতার বক্তব্য, যেখানে দেশের ইতিহাসকেই বদলে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এবার তো সেই সব কিছু ছাড়িয়ে দেশের ইতিহাসকে মুছে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। কেন্দ্রীয় স্কুল সিলেবাস থেকেই বাদ দিয়ে দেওয়া হল বাবর-আকবর-শাহজাহানের মুঘল যুগের ইতিহাস। মোদি সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কেন্দ্রচালিত বিদ্যালয়, আর্মি স্কুল, সেন্ট্রাল স্কুল সহ সিবিএসই অনুমোদিত স্কুলগুলির পাঠ্যক্রমে আর মুঘল অধ্যায় থাকবে না। এই ঘটনাকেই বাংলার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু রীতিমত ‘ভয়ঙ্কর সিদ্ধান্ত’ বলে চিহ্নিত করেছেন।