চালের দাম নিয়ন্ত্রণে খোলা বাজারে বিক্রির সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের
খরিফ মরশুমে শস্যের ফলন ভাল। জোগান পর্যাপ্ত। তার পরও চাল-সহ নানা ফসলের দাম (Price) কিছুতেই নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হচ্ছে না। সে কথা মেনে নিয়েই খোলা বাজার ও রেশন দোকান মারফত ভরতুকিতে চাল ও বাকি ফসল বিক্রির সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র সরকার। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিগোষ্ঠীর বৈঠকে এ নিয়ে পরিস্থিতির বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়ে বিবৃতি জারি করা হয়েছে।
চাল-সহ ঊর্ধ্বমুখী সমস্ত ফসলের দাম নিয়ন্ত্রণের বাইরে বলে একইসঙ্গে কেন্দ্র সরকার আশঙ্কা প্রকাশ করে জানিয়েছে, ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই পরিস্থিতি থাকবে। তাদের দেওয়া তথ্য বলছে, গত দেড় বছরে ১২ শতাংশ বেড়েছে চালের দাম। যা নিয়ন্ত্রণে কোনও সদর্থক পদক্ষেপ করা যাচ্ছে না বলে চিন্তা বাড়িয়েছে কেন্দ্রের সরকারেরও। এই পরিস্থিতিতে সরাসরি জনতার কাছে কম দামে চাল-আটা (Rice-Wheat) বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় ফুড কর্পোরেশন বা এফসিআইয়ের (FCI) মতো সরকারি একাধিক সংস্থার কাছে তাদের আবেদন, রাস্তায় নেমে সরাসরি জনতার হাতে কম দামে খাদ্যপণ্য পৌঁছে দিক তারা।
এই ভরতুকিযুক্ত চালের পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে ‘ভারত চাল’। একইসঙ্গে ‘ভারত আটা’, ‘ভারত ডাল’ – এমন নাম দিয়ে পরপর বাকি ফসল বা শস্য বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা চাল খোলা বাজারে বিক্রি করলে তা প্রতি কেজি ২৫ টাকায় বিক্রি করবে এফসিআইয়ের মতো সংস্থা। রেশন ডিলাররা তা বিক্রি করবেন কেজি প্রতি আরও ৪ টাকা বেশি মূল্যে। তবে এই চাল বা অন্য ফসল ৩১ মার্চের মধ্যে এফসিআইকে বিক্রি করে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।