দক্ষিণবঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা
শনিবার রাত থেকেই শুরু হয়েছে বৃষ্টি। রবিবারেও তার রেশ জারি। দুপুর গড়াতেই ফের কলকাতায় তুমুল বৃষ্টি।গ্রীষ্মের দাবদাহে দীর্ঘ সময়ে নাজেহাল কলকাতা। বিগত কয়েক দিনে কিছুটা হলেও স্বস্তি মিলেছে। অল্প-বিস্তর বৃষ্টি দেখা দিয়েছে শহর এবং শহরতলির নানা অংশে। সপ্তাহান্তেও বৃষ্টিস্নাত শহর চাক্ষুষ করার সুযোগ।উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি কিছুটা কমবে। দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি পাঁচ জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস। বিক্ষিপ্ত ভাবে দু-এক পশলা ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস।
উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। এই ঘূর্ণাবর্ত ওড়িশা অভিমুখে অগ্রসর হবে। আপাতত গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশার উপর অবস্থান করছে। এর প্রভাব কতটা বাংলায় পড়বে তার দিকে নজর রাখছেন আবহাওয়াবিদরা।আগামী মঙ্গলবার ১৮ জুলাই আরও একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হবে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে। মৌসুমী অক্ষরেখা গঙ্গানগর, নাড়নাউল, গোয়ালিয়ার সিদ্ধি ডালটনগঞ্জ হয়ে হলদিয়ার উপর দিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে গিয়ে পূর্ব ও মধ্য বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত।
দক্ষিণবঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা সব জেলাগুলিতে। দক্ষিণবঙ্গে একদিকে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি, অন্যদিকে বিক্ষিপ্ত ভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি। আগামী ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি কিছুটা বাড়তে পারে দক্ষিণবঙ্গে।উত্তরবঙ্গের উপরের দিকে পাঁচ জেলাতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলবে। শনিবার বিক্ষিপ্ত ভাবে ভারী বৃষ্টি হতে পারে দুই জেলাতে। দুই এক পশলা ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি জেলাতে। কলকাতায় মূলত মেঘলা আকাশ। আজ বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস। নাগাড়ে বৃষ্টি হলেও জলীয় বাষ্পের কারণে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি থাকবে।