খাদিকুল গ্রামে পৌঁছলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
খাদিকুল গ্রামে পৌঁছেই নিহত এবং আহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ আগেই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে নিহত এবং আহতদের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করা হয়৷ এ দিন খাদিকুল গ্রামে সেই পরিবারগুলির সদস্যদের হাতে ক্ষতিপূরণের চেক তুলে দেওয়ার কথা মুখ্যমন্ত্রী৷
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এই ঘটনা আমাদের চোখ খুলে দিয়েছে৷ মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে আমরা একটা কমিটি তৈরি করেছি৷ কমিটির রিপোর্ট আসতে দু মাস সময় লাগবে৷ যাঁরা এই বাজি তৈরির সঙ্গে যুক্ত তাঁদের জীবিকা যাতে নষ্ট না হয় আমরা দেখব৷ আবার তাঁদের নিরাপত্তার বিষয়টিও দেখা হবে৷ আমরা পরিবেশবান্ধব বাজি তৈরির জন্য ক্লাস্টার তৈরি করব৷ যেখানে যেখানে বাজি কারখানা আছে, সেখানে জনবহুল এলাকার বাইরে আমরা এই ক্লাস্টার তৈরি করে দেব৷ অনেকে পয়সার লোভে বেআইনি বাজি তৈরি করে৷ অনেকে টাকার লোভে এসব করে৷ নিজেও মারা গেল, সঙ্গে অনেককে নিয়ে গেল৷ আমরা ঘটনার দিন থেকেই যোগাযোগ রেখেছি৷ আমার উদ্দেশ্য মানবিক৷ মানুষ চলে গেলে তাঁর পরিবার পড়ে থাকে৷ এসব নিয়ে অনেকে রাজনীতি, জলঘোলা করেছে৷
মুখ্যমন্ত্রী জানান, যাঁরা এই দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন, তাঁদের পরিবারকে আড়াই লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে৷ পাশাপাশি, পরিবারের একজন সদস্যকে পুলিশে হোমগার্ডের চাকরি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এ দিন খাদিকুল গ্রামের মঞ্চ থেকেই নিহতদের পরিবারের সদস্যদের হাতে ক্ষতিপূরণের টাকা এবং নিয়োগ পত্র তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী৷