স্বাস্থ্যসাথী কার্ড না থাকলেও এবার মিলবে লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা
লক্ষ্মীর ভান্ডারের সুবিধা পাওয়ার জন্য এতদিন স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকা বাধ্যতামূলক ছিল। তবে এবার স্বাস্থ্যসাথী কার্ড না থাকলেও মিলবে লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা। পঞ্চায়েত ভোটের প্রাক্কালে এমনই ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১ এপ্রিল, শনিবার থেকে চালু হওয়া দুয়ারে সরকার থেকেই এই পরিষেবা মিলবে।
এদিন থেকেই রাজ্যজুড়ে পুনরায় শুরু হয়েছে দুয়ারে সরকার প্রকল্প। আর প্রথমদিনই লক্ষ্মীর ভান্ডার থেকে স্বাস্থ্যসাথী, খাদ্যসাথী, বিধবা ভাতা, ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে হাজার-হাজার আবেদনপত্র জমা পড়েছে। তবে অন্যান্য বারের মতো এবারেও লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের জন্য সবথেকে বেশি আবেদনপত্র জমা পড়েছে। এতদিন স্বাস্থ্যসাথী কার্ড না থাকলে লক্ষ্মীর ভান্ডারের সুবিধা পাওয়া যেত না। এবার সরকারের তরফে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড না থাকলেও লক্ষ্মীর ভান্ডারের সুবিধা পাওয়ার কথা ঘোষণা করায় খুশি গৃহস্থ মহিলারা। কেননা এখনও পর্যন্ত অনেকেরই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নেই। ফলে তাঁরা লক্ষ্মীর ভান্ডারের সুবিধা থেকেও বঞ্চিত। এবার সরকারের নয়া ঘোষণায় সকলেই লক্ষ্মীর ভান্ডারের সুবিধা পাবেন।
নবান্ন সূত্রে খবর, ১ এপ্রিল, শনিবার থেকেই রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে দুয়ারে সরকার পরিষেবা। আর প্রথম দিনই লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের জন্য ১ লক্ষ ৩৫ হাজার আবেদনপত্র জমা পড়েছে। এর পরে রয়েছে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের চাহিদা। দুয়ারে সরকার পরিষেবা শুরু হওয়ার প্রথম দিনই স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের সুবিধা নেওয়ার জন্য ৬০ হাজার আবেদনপত্র জমা পড়েছে। এরপরে রয়েছে খাদ্যসাথী প্রকল্প।