বিজেপি ভোট চাইলেই পরিবর্তে মিলবে জুতো ও ঝাঁটা পেটা
ফের ‘দিদির দূত’ বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল সভানেত্রী’কর্মসূচিতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে শাসকদলের প্রতিনিধিরা। এবার বাঁকুড়ায় আবাস যোজনার উপভোক্তা নির্বাচন নিয়ে এলাকার মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়লেন জেলা তৃণমূলের নেতা-নেত্রীরা। যদিও পরিস্থিতি সামাল দিতে পাল্টা কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ তুললেন শাসকদলের প্রতিনিধিরা। শুধু তাই নয় বিজেপি ভোট চাইতে এলে ‘চামড়া গুটিয়ে দেওয়ার’ নিদান দিলেন বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল সভানেত্রী । যা নিয়ে বিতর্কের ঝড় উঠেছে রাজনৈতিক মহলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে , বৃহস্পতিবার দিদির দূত হিসেবে বাঁকুড়ার দুই নম্বর ব্লকের মৌলাডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতে যান তৃণমূলের মহিলা জেলা সভানেত্রী মৌ সেনগুপ্ত। সেখানে গ্রামবাসীদের একাধিক প্রশ্নের সম্মুখীন হয়ে তিনি জোর গলায় তাদের কেন্দ্র সরকারের বঞ্চনার পাশাপাশি বিজেপি ভোট চাইতে এলে তাদের জুতো ও ঝাঁটা পেটার বিধান দেন।তার কথায়,"একদম এই এলাকাতে বিজেপি নেতৃত্বদের ঢুকতে দেবেন না, ওদেরকে ঢুকতে দেওয়া আর করোনা ভাইরাসকে ঢুকতে দেওয়া একই বিষয়, ঘরে যা আছে অর্থাৎ জুতো-ঝাঁটা এক করে ঝেঁটিয়ে বিদায় করে দেবেন"। ভূত-ঝাঁটার মত ঝাঁটানোর পরামর্শ দেন তিনি। এই নিয়ে তোলপাড় ফের রাজ্য-রাজনীতি।
তৃণমূল মহিলা সভানেত্রীর এই বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছে বিজেপি। বাঁকুড়া সাংগঠনিক বিজেপির জেলা সভাপতি বিল্লেশ্বর সিংহ পাল্টা বলেন, “একজন মহিলা নেত্রীর মুখে এই ধরনের মন্তব্য আশা করা যায় না। মানুষ শুধু সময়ের অপেক্ষা করছে। সময় এলেই মানুষ এর জবাব দেবে।অন্যদিকে, আবাস যোজনায় বেনিয়মের অভিযোগ স্বীকার করে বাঁকুড়া -২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুনীতা ঘোষ বলেন, “আবাসের সমীক্ষা নিয়ে কিছু গন্ডগোল হয়েছিল। তবে সেটা ঠিক করার চেষ্টা চলছে।”