বাড়ি না ছাড়লে বাড়বে বিপত্তি !
ফের হুশিঁয়ারি চিঠি পাঠানো হলো বিশ্বভারতীর তরফে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের প্রতি । সেই নোটিশে তাকে সরাসরি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে তিনি যদি ১৫ দিনের মধ্যে বাড়ি খালি না করেন তাহলে তার প্রতি কর্তৃপক্ষের তরফে বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলেই দাবি করা হয়েছে । এই হুশিঁয়ারিকে ঘিরেই সৃষ্টি হয়েচে নতুন এক বির্তক ।
অমর্ত্য ওই পাল্টা চিঠিতে লেখেন, আমরা বিশ্বভারতীর একটি নোটিস পেয়েছি। তবে শান্তিনিকেতনের প্রতীচী বাড়ির জমি ১৯৪৩ সাল থেকে আমার পরিবারের দখলে। আমরা তা নিয়মিত ব্যবহার করে আসছি। আমি জমির মালিক। এটি হস্তান্তর করা হয়েছিল। ৮০ বছর ধরে তা ব্যবহার করা হচ্ছে। ইজারার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে এই লিজ দেওয়া জমির বিপরীতে কোনও দাবি দাঁড়াতে পারে না। এলাকায় শান্তি বজায় রাখার পাশাপাশি চলতি অবস্থাকে স্বীকৃতি দেওয়া উচিত ম্যাজিস্ট্রেটের ।
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের বাড়ির নাম ‘প্রতীচী’। এই বাড়ির গেটে আগেই উচ্ছেদের নোটিশ ঝুলিয়েছিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। বুধবার ফের নতুন করে তাঁকে উচ্ছেদের নোটিশ পাঠানো হয়।সূত্রের খবর, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে পাঠানো ওই নোটিশে সই রয়েছে বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত কর্মসচিব অশোক মাহাতোর। নোটিশে ‘প্রতীচী’-র জমির লিজ বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।উল্লেখ্য, ‘প্রতীচী’-র গেটে কর্তৃপক্ষের তরফে উচ্ছেদের নোটিশ দেওয়ার পরই ১৭ এপ্রিল জবাবি চিঠি পাঠান নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। সেই চিঠিতে একাধিক বিষয়ের কথা উল্লেখ করেন তিনি।
এই বির্তকের পরিপ্রেক্ষিতে অর্মত্য সেন জানান, বর্তমানে তিনি শান্তিনিকেতনে থাকেন না কিন্তু তিনি খুব শীঘ্রই ফিরে আসছেন । তিনি আরও বলেন শান্তিনিকেতনের সেই প্রতীচী বাড়ির জমি তার বাবার এবং বর্তমানে সেই জমি সম্পূর্ণ অংশটি তার নামে মিউটেশন ও করা রয়েছে ইতিমধ্যে । বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের লোকজনেরা নাকি বেআইনি ভাবে তার বাড়ির গেটে এই ধরনের হুঁশিয়ারির নোটিশ ঝুলিয়ে দিয়ে গেছেন । এমনই জানিয়েছে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অর্মত্য সেন ।