রেশন দু্র্নীতি মামলাতে আদালতে প্রশ্নের মুখে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট
মঙ্গলবার রেশন দুর্নীতির মামলায় অভিযুক্ত সল্টলেকের ব্যবসায়ী বিশ্বজিত দাস, বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যকে নগর দায়রা আদালতে হাজির করানো হয়। আদালতে ভার্চুয়ালি হাজির করানো হয় রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ‘ঘনিষ্ঠ’ বাকিবুর রহমানকে। আদালতে বিচারকের প্রশ্নের মুখে পড়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। বিচারক বলেন, ‘‘রেশন বণ্টন দুর্নীতির তদন্তে এখনও পর্যন্ত কোনও সরকারি আধিকারিককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন? খাদ্য দফতরের কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন কি?’’
আদালতে ইডির তদন্তকারী অফিসার জানান, ডিস্ট্রিবিটরদের সঙ্গে কথা বলে খাদ্যপণ্য কম সরবরাহ করার কথা প্রকাশ্যে এসেছে। অভিযোগ ছিল, রেশন দোকানে খাদ্যপণ্যের জোগান কম দেওয়া হয়েছিল। বাকি খাদ্যপণ্য অভিযুক্তেরা আত্মস্যৎ করেছিলেন। সেই অভিযোগ যে সত্যিই, তা আদালতে মেনে নিয়েছেন তদন্তকারী অফিসার। ইডি দাবি করেছিল, বাকিবুরের মিল থেকে সরকারি আধিকারিকদের সিল মিলেছিল। সেই সিল ব্যবহার করে দুর্নীতি চলেছিল। বিচারক সেই প্রসঙ্গে ইডির উদ্দেশে বলেন, ‘‘বাকিবুরের মিল থেকে সরকারি আধিকারিকের সিল পেয়েছেন বলে আপনারা দাবি করেছেন। কোন কোন অফিসারের নামে সিল পেয়েছেন?
ইডির দাবি, গ্রাহকদের কম আটা দেওয়া হত রেশন। সেই নিয়েও প্রশ্নের মুখে ইডি। বিচারক বলেন, ‘‘গ্রাহকদের পরিমাণে কম আটা দেওয়ার অভিযোগ করছেন, সেটা যাচাই করতে কোনও ডিলারদের সঙ্গে কথা বলেছেন?’’ ইডির বক্তব্য, উদ্ধার হওয়া তথ্যপ্রমাণ এবং সাক্ষীদের বয়ানের উপর ভিত্তি করেই তদন্ত এগিয়েছে। যদিও বিচারকের প্রশ্ন, ‘‘পিএমএল (টাকা নয়ছয়) আইনের ৫০ নম্বর ধারা অনুযায়ী, শুধু বয়ান নিলেই হবে না।