সায়গল হোসেনের বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি ! সংগৃহীত ছবি
গরুপাচার মামলায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনে থাকা বিএসএফের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর দাবি করল কেন্দ্রীয় সরকারের আরেকটি সংস্থা ইডি। বিএসএফের যোগসাজশেই গরুপাচার করা হত, দাবি কেন্দ্রীয় এজেন্সির চার্জশিটে। শুক্রবার ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, তাদের চার্জশিটে অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের বিস্ফোরক স্বীকারোক্তিরও উল্লেখ রয়েছে।
সায়গলের মোবাইলে আসা একাধিক ফোন কলের রেকর্ড নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি করেছেন তিনি, এমনই শোনা যাচ্ছে। গরুপাচারকারীরা তাঁর ফোনের মাধ্যমেই কথা বলতো অনুব্রতর সঙ্গে, স্বীকার করেছেন সায়গল, বলছে সূত্র। এমনকি একাধিক তৃণমূল বিধায়ক, নেতা, পুলিশ অফিসাররাও অনুব্রতর সঙ্গে কথা বলার জন্য তাঁকেই ফোন করতেন, দাবি সায়গলের।
সূত্রের খবর, চার্জশিটে সায়গল ও গরু পাচারকারীদের সঙ্গে কথোপকথনের কল রেকর্ডও জমা দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, চার্জশিটে বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ করে ইডি দাবি করেছে, গরুবোঝাই ট্রাকগুলিকে একটি টোকেন দেওয়া হত। একটি সিন্ডিকেট ছিল, যারা এই টোকেন দিত। কোথাও ট্রাক আটকালে, সেই টোকেন দেখালেই সীমান্তে যাওয়ার সবুজ সংকেত মিলত।
সূত্রের খবর, চার্জশিটে ইডি দাবি করেছে, রাত ১১টা থেকে ৩টের এই ৪ ঘণ্টার মধ্যেই বাংলাদেশে গরুপাচার হত। আর এতে প্রত্যক্ষ মদত বিএসএফের একাংশ। এর জন্য মোটা অঙ্কের টাকা পৌঁছত বিএসএফের একাংশের কাছে। মুর্শিদাবাদ সীমান্তে বেশ কয়েকটি জায়গা ঠিক করা ছিল। যেখান দিয়ে নদী পথে বাংলাদেশে গরু পাচার হত। এই মর্মে বিএসএফ আধিকারিকদের সঙ্গে আগে থেকেই কথা হয়ে থাকত এনামুল হকের।