অবশেষে তিহাড়েই ঠাঁই কেষ্টর ! সংগৃহীত ছবি
আপাতত তিহাড় জেলেই থাকতে হবে অনুব্রত মণ্ডলকে। গরু পাচার মামলায় ফের জেল হেফাজতে থাকতে হচ্ছে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতিকে। আগামী ১৪ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল দিল্লিতে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। অনুব্রতর হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকেও থাকতে হবে জেলে। আগামী ১ মে মামলার পরবর্তী শুনানি।
অনুব্রত মণ্ডলের এই তিহাড় যাত্রা যে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলকে নতুন করে অস্বস্তিতে ফেলেছে, তা বলাই বাহুল্য। এই প্রসঙ্গে বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘ইডি-র উদ্দেশ্য, সবাইকে সামনে বসিয়ে জেরা করে আসল সত্যি সামনে আনা।’ আর পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে অনুব্রতর তিহাড় বাস যে তৃণমূলকে আরও বেশি অস্বস্তিতে ফেলবে, তেমনটাই মনে করছেন তিনি। আর বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘তিহাড়ই কেষ্টর ভবিতব্য ছিল। তিহাড়ের সারাজীবন কেটে যাবে, আপাতত তিহাড়বাসীই হয়ে যাবেন অনুব্রত।’
দু’দফায় জেল হেফাজত শেষে সোমবার ফের অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে তোলা হয়। তৃণমূল নেতার হিসেব রক্ষক মণীশ কোঠারিকেও পেশ করা হয় আদালতে।শরীর মোটেই ভালো নেই তাঁর। তাছাড়া প্রচণ্ড গরমে রীতিমতো কাহিল হয়ে পড়েছেন তিনি। যদিও তার পরও আদালতে স্বস্তি পেলেন না গোরু পাচার মামলায় ধৃত অনুব্রত মণ্ডল। বীরভূম তৃণমূলের জেলা সভাপতিকে ফের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিলেন বিচারক। ফলে আপাতত তিহাড়েই থাকতে হবে লালমাটির জেলার কেষ্টকে।