মালদহে বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে গঙ্গা
বিপদসীমা থেকে নীচে থাকলেও মহানন্দা নদীর জলস্তরও বাড়ছে। নদীর তীরবর্তী গ্রামগুলিতে বন্যা পরিস্থিতি অব্যাহত রয়েছে। এ ছাড়া, ভাঙনে বিদ্যুতের খুঁটি, ট্রান্সফরমার নদী গর্ভে তলিয়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল রতুয়ার একাধিক গ্রাম। এ দিন থেকে সে গ্রামগুলিতে বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক করা হয়েছে, দাবি সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্তাদের।
প্রশাসনের দাবি, রতুয়ার জিতুরামটোলা, পটলডাঙার মতো সাতটি গ্রামে গঙ্গা ভাঙনে ১২টি ট্রান্সফরমার তলিয়ে যায়। সে গ্রামগুলি দুই সপ্তাহ ধরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ছিল। এমন অবস্থায় জলের মধ্যে নৌকা নিয়ে গিয়ে বিদ্যুতের খুঁটি বসানো হয়েছে বলে জানান বিদ্যুৎ দফতরের রিজিওন্যাল ম্যানেজার উজ্জ্বল দত্ত। তিনি বলেন, “দফতরের কর্মীরা যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করেছেন। ১২টি ট্রান্সফরমার বসানো হয়েছে।
মালদহে সাধারণত সেপ্টেম্বর থেকে নদীগুলির জলস্তর বাড়তে থাকে। কিন্তু এ বার উত্তর ভারতে ভারী বৃষ্টির কারণে অগস্ট থেকেই জেলার নদীগুলির ফুলেফেঁপে উঠেছে। ফলে, এখন থেকেই জেলায় বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এরই সঙ্গে, রতুয়া, মানিকচক, বৈষ্ণবনগরে ভাঙনও চলছে। যদিও এ দিন নতুন করে কোথাও কোনও ভাঙন হয়নি, দাবি সেচ দফতরের কর্তাদের।