সুপ্রিম কোর্টে রক্ষাকবচ পেলেন গৌতম পাল
সুপ্রিম কোর্টে রক্ষাকবচ পেলেন গৌতম পাল, পার্থ কর্মকার। পরবর্তী শুনানির দিন পর্যন্ত তাঁদের গ্রেফতার করা যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তবে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মতো সিবিআই তদন্ত চলবে। নিয়োগ তদন্তে সিবিআই দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন গৌতম পাল। প্রয়োজনে হেফাজতে নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পালকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে সিবিআই, এমনই নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই সুপ্রিম কোর্টে যান গৌতম পাল।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে এদিন আইনজীবীর যুক্তি ছিল, অতীতে যা যা ঘটেছে তার সঙ্গে বর্তমান পর্ষদল সভাপতি ও সচিবের কোনও সম্পর্ক নেই। ২০২২ সালের ২৪ অগস্ট পর্ষদের সভাপতি পদে যোগ দিয়েছিলেন গৌতম পাল। এরপর ডেপুটি সেক্রেটারি হিসাবে যোগ দেন পার্থ কর্মকার। পর্ষদের আইনজীবীর যুক্তি, যে সময় দুর্নীতি হয়েছে, তাঁরা কেউই সেই সময়ের পদাধিকারী নন, বলেন আইনজীবী।
তবে যাঁরা চাকরি পাননি, তাঁদের তরফে আইনজীবীর দাবি, মূল অভিযুক্ত জেলে থাকলেও যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ নথি এখনও পর্যন্ত বর্তমান সভাপতির দায়িত্বেই রয়েছে। অর্থাৎ তথ্যপ্রমাণ লোপাটের ইঙ্গিত দেন তিনি। যদিও এই বক্তব্য বিশেষ গুরুত্ব পায়নি। অন্যদিকে পর্ষদের তরফে আইনজীবী এদিন তুলে ধরেন, সুপ্রিম কোর্টে মামলা বিচারাধীন থাকার পরও একক বেঞ্চ প্রয়োজনে কড়া পদক্ষেপের কথা বলেছে।