ভারী বর্ষণের জেরে বিধ্বস্ত হিমাচল প্রদেশ
রবিবার রাত থেকে শুরু হওয়া ‘প্রকৃতির রোষে’ হিমাচল প্রদেশে মৃত্যুর সংখ্যা ৫০ ছুঁয়েছে। গৃহহীন হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। ইউনেস্কো ঘোষিত ‘বিশ্ব ঐতিহ্য ক্ষেত্র’ (ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট) শিমলা-কালকা রেলপথের একাংশ ভেসে গিয়েছে জলের তোড়ে। বৃষ্টির তাণ্ডব থেকে রেহাই পায়নি হিমালয়ের কোলের পড়শি রাজ্য উত্তরাখণ্ডও। সেখানে ভূমিধসের কারণে স্থগিত হয়ে গিয়েছে শ্রাবণ মাসের চারধাম যাত্রা।
রবিবার রাতে সোলান জেলায় মেঘভাঙা বৃষ্টিতে ১১ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। অন্য দিকে, শিমলা শহরের একটি শিবমন্দির ধসে পড়ার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত অন্তত ১৫ মৃত্যু হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রের খবর। মনে করা হচ্ছে, ভেঙে পড়া কংক্রিটের চাঁইয়ের নীচে এখনও চাপা রয়েছেন কয়েক জন পুণ্যার্থী। ফলে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে প্রশাসন।
প্রসঙ্গত, কয়েক দিন ধরেই হিমাচল এবং উত্তরাখণ্ডে ভারী বৃষ্টি চলছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টির পরিমাণ আরও বেড়েছে। পাহাড়ি নদীগুলির জলস্তরও বৃদ্ধি পেয়েছে। হিমাচলে খরস্রোতা বিপাশা নদীর জল বিপদসীমার কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে। প্রায়ই কোথাও না কোথাও ধস নামছে। ধসের কারণে রাস্তা আটকে বিপদে পড়েছেন তীর্থযাত্রী এবং স্থানীয় বাসিন্দারা।
পশ্চিম হিমালয়ের কোলে অবস্থিত দুই রাজ্যের সরকার প্রাণহানির ঝুঁকি এড়াতে প্রায় ৭০০টি রাস্তা আপাতত বন্ধ করে দিয়েছে। কোথাও মেরামতির কাজ চলছে। কোথাও বৃষ্টির কারণে তা-ও সম্ভব হচ্ছে না। শুধু শিমলাতেই ৫৯টি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা বন্ধ হয়ে আছে। শিমলা এবং চণ্ডীগড়ের সংযোগকারী শিমলা-কালকা জাতীয় সড়কে ধসের কারণে গত দু’সপ্তাহ ধরে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।