বড়সড় দুর্ঘটনা এড়াল হাওড়া-পুরী সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস ! সংগৃহীত ছবি
মুহূর্তের মধ্যে তীব্র ঝঁকুনিতে ঘুম ভাঙে যাত্রীদের। ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে যাত্রীদের মধ্যে। হুড়মুড়িয়ে দাঁড়িয়ে যায় ট্রেন। ঘটনার আকস্মিকতায় হতভম্ব হয়ে যান যাত্রীরা। চলন্ত ট্রেনের কাপলিং খুলে গিয়ে ইঞ্জিনের থেকে বগি আলাদা হয়ে গিয়েছিল। শনিবার গভীর রাতে এই বিপত্তির পরেই তীব্র ঝাঁকুনি দিয়ে লাইনে দঁড়িয়ে যায় ট্রেন।
বড়সড় দুর্ঘটনা এড়াল হাওড়া-পুরী সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। পশ্চিম মেদিনীপুরের নেকুড়সেনি স্টেশনে ঢোকার আগে পুরীগামী চলন্ত ট্রেনের কাপলিং খুলে যায়। দুটি বগি নিয়ে এগিয়ে যায় ইঞ্জিন। রাত ১টা ৫ মিনিটে দুর্ঘটনা ঘটে। সেইসময় ঘুমিয়ে ছিলেন যাত্রীরা। টের পেতেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। মেরামতি না হওয়ায়, খুলে যাওয়া বগিদুটি থেকে যাত্রীদের নামিয়ে নতুন বগি আনা হয়। প্রায় ৫ ঘণ্টা পর, সকাল সোয়া ৬টা নাগাদ ফের পুরীর উদ্দেশে রওনা দেয় হাওড়া-পুরী সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস।
খবর পেয়ে তড়িঘড়ি পদক্ষেপ করে রেলও। দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান রেলের কর্মীরাও। ইঞ্জিন থেকে খুলে যাওয়া সেই কাপলিং ফের লাগানোর চেষ্টা শুরু হয়ে যায়। তবে রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টার পরেও ওই কাপলিং লাগাতে বেগ পেতে হয় রেলের কর্মীদের। নেকুড়সেনি স্টেশনে ঢোকার আগেই কয়েক ঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়ে থাকে হাওড়া-পুরী সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস।
তবে এই বিপত্তির জেরে যাত্রীরা কেউ আহত না হলেও তাঁদের যথেষ্ট ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। যদিও তড়িঘড়ি রেল প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করায় যাত্রী ক্ষোভ সামাল দেওয়া গিয়েছে।যাত্রীরাও যারপরনাই দুর্ভোগের মধ্যে পড়েন। পরিস্থিতি সামাল দিতে এরপর নতুন বগি পাঠানো হয়। আগের বগি থেকে যাত্রীদের নামিয়ে নতুন বগিতে তোলা হয়। পরবর্তী সময়ে রবিবার সকাল ৬টার পর ফের ট্রেনটি পুরীর উদ্দেশে রওনা দেয় বলে জানা গিয়েছে ।যদিও এই বিপত্তির জেরে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি ।