শান্তিনিকেতনের চন্দন বন ফিরিয়ে দিতে উদ্যোগ।ছবি: নিজস্ব
কসময় শ্বেত চন্দনের বন হিসেবে পরিচিত ছিল শান্তিনিকেতন। তবে গত কয়েক দশকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও কাঠ পাচারকারীদের দৌরাত্ম্যে ধীরে ধীরে হারিয়ে গিয়েছে সেখানকার বহু মূল্যবান চন্দন গাছ। এতে প্রশাসনের যেমন আর্থিক ক্ষতি হয়েছে তেমনই ক্ষতি হয়েছে পরিবেশের। তবে ফের শান্তিনিকেতনকে চন্দন গাছে ভরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হল। বনবিভাগের বোলপুর ডিভিশন ঠিক করেছে ১৪ হাজার শ্বেত চন্দন ও রক্ত চন্দন গাছ শান্তিনিকেতনে লাগানো হবে।
মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রথম শান্তিনিকেতনে এসে ছাতিম ও চন্দন গাছের জঙ্গল দেখে মোহিত হয়েছিলেন। অনেক বিখ্যাত লেখকের রচনায় এই গাছগুলির উল্লেখ পাওয়া যায়।এমনকি বাংলা কবিতায়, শান্তিনিকেতন একসময় মূল্যবান চন্দন গাছের বিখ্যাত বন হিসেবে পরিচিত ছিল, বিশেষ করে শান্তিনিকেতন জুড়ে সাদা চন্দন গাছ পাওয়া যেত। কিন্তু গত এক-দুই দশকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং ফ্ল্যাট, রিসোর্ট, হোটেল, বহুতল ভবন ইত্যাদি নির্মাণের কারণে এখানে শান্তিনিকেতনের প্রাকৃতিক রূপ বদলে যায়।
রাতারাতি অবৈধভাবে কাটা শুরু হয়েছে মূল্যবান চন্দন গাছ। এভাবে বিশ্বভারতী ও আশপাশের এলাকা থেকে কোটি টাকার চন্দন উধাও হয়ে যায়। বন বিভাগের আঞ্চলিক কর্মকর্তা প্রদীপ হালদার জানান, এবারের বন মহোৎসবে ১৪ হাজার চন্দন গাছ এবং মেহগনি, শ্বেতি শাল, মহল, শিশু বট, পিপল, নিম প্রভৃতি মূল্যবান গাছও বিতরণ করা হবে। চন্দননগর শান্তিনিকেতন আরও একবার চন্দনের সুগন্ধে মেতে উঠবে বলে আশা করা যায়।