পাখি পাচার বন্ধে বিএসএফ কঠোর ব্যবস্থা। প্রতীকী ছবি
সীমান্তে বিরল প্রজাতির পাখি পাচার বন্ধে বিএসএফ কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে। ওই এলাকায় কোনওরকম চোরাচালান রুখতে বিএসএফ তৎপর বলে জানান তিনি।প্রায়শই সামনে আসে পাখি উদ্ধারের ঘটনা। অনেক সময়েই নানা জায়গায় চোরাচালানের পর্দাফাঁস করে বিএসএফ । অনেকসময়েই বাজেয়াপ্তের তালিকায় থাকে পাখি। গত বছরেই নদিয়ার কল্যাণী থেকে উদ্ধার হয়েছিল ৫০ লক্ষ টাকা মূল্যের ১৩৮টি বিদেশি পাখি।
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবারের তল্লাশিতে ৯৩৩টি মাছরাঙার দেহাংশ, ৮৬৮টি জঙ্গলের লাল ও ধূসর রঙের পাখির রঙিন পালক এবং বিলুপ্ত প্রজাতির ফ্রাঙ্কোলিনের ১৬৮টি শুকনো কঙ্কাল উদ্ধার হয়। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডিএফও মিলন মণ্ডল জানান, গত ১৬ বছর ধরে বিদেশের রাশিয়া, জাপান, বুলগেরিয়া, জার্মানি, আমেরিকা, নাইরোবি, কেনিয়া ও চিলিতে এই ধরনের পাখি ও পাখির দেহাংশ পাচার করা হত। পাখির দেহাংশ ও পালক নিয়ে প্রধানত শৌখিন সামগ্রী ও মাছ ধরার টোপও তৈরি করা হত, প্রাথমিক ভাবে ধারণা তাঁদের। তবে এই গোটা চক্রে আর কারা জড়িত জানতে ধৃতকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করবে বন দফতর। আজ, শুক্রবার তাঁকে কাকদ্বীপ মহকুমা আদালতে পেশ করার কথা।
মার্চেই পাচারকারীদের হাত থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল প্রচুর সংখ্যায় বিরল প্রজাতির পাখি। বিএসএফ জওয়ানরা পাচারকারীদের কবল থেকে পাখিগুলি উদ্ধার করে। সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে দক্ষিণ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের সীমা চৌকি গোবিন্দপুর বি ৮২ ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা সেই অভিযান চালিয়েছিলেন। তখই দেখা যায়, বাংলাদেশের দিক থেকে কিছু লোকজন ভারতীয় সীমান্তের দিকে আসছে। নজরে পড়তেই তাদের থামতে বলেন জওয়ানরা। কিন্তু তারা থামেনি। জওয়ানরা তাঁদের ফের থামতে বলেন। তখনই, অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশের দিকেই পালিয়ে যায় তারা। জওয়ানরা ঘটনাস্থল থেকে দুটি কাঠের বাক্স উদ্ধার করে।