কুন্তলের সঙ্গেও লেনদেন হয়েছিল ‘কালীঘাটের কাকু’র
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি অফিসে এক সময় কাজ করতেন সুজয়। যদিও নিয়োগ দুর্নীতিতে তাঁর নাম প্রথম বলেছিলেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ব্যবসায়ী তাপস মণ্ডল। এর পর সুজয়কে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি গ্রেফতার করে মঙ্গলবার রাতে। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, সুজয়ের সঙ্গে আর্থিক লেনদেন হয়েছিল তৃণমূলের যে বহিষ্কৃত যুবনেতার, তাঁর নাম কুন্তল ঘোষ। যিনি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়ে বন্দি রয়েছেন প্রেসিডেন্সি জেলে। ইডি সূত্রে খবর, সুজয়ের সঙ্গে কুন্তলের এই আর্থিক লেনদেন হয়েছিল ২০১৯-২০ সালের মাঝামাঝি। যে লেনদেনের কথা ইডির কাছে কুন্তল স্বীকারও করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে ইডি সূত্রে।
এর আগে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে ইডির গোয়েন্দারা জানতে পেরেছিলেন, হুগলির বহিষ্কৃত নেতা শান্তনুর স্ত্রীর সংস্থা থেকে জমি কিনেছিলেন সুজয়। চার্জশিটে সেই তথ্য জানিয়েছিল ইডি। এ-ও লিখেছিল যে, ওই জমি কেনার জন্য ৪০ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন সুজয়। পরে ইডির জিজ্ঞাসাবাদে সেই তথ্য মেনেও নেন তিনি। শান্তনুর সঙ্গে তাঁর এই আর্থিক লেনদেনের সম্পর্ক প্রসঙ্গে সুজয় ইডিকে জানিয়েছিলেন, তিনি শান্তনুর থেকে জমি নিয়েছিলেন পারিবারিক ব্যবসা করার জন্য। চেকে টাকা দেওয়া হয়েছিল। শান্তনুরাই এ ব্যাপারে প্রস্তাব দিয়েছিলেন তাঁকে। সুজয় জানিয়েছিলেন, তখন টাকাপয়সার দরকার ছিল ওঁদের। সে জন্যই শান্তনুদের সাহায্য করতে ওই জমি কিনেছিলেন তিনি। যদিও পরে সেই টাকা এবং জমি কোনওটিই তিনি হাতে পাননি বলে ইডিকে জানান সুজয়। মঙ্গলবার জানা গেল, শান্তনু-ঘনিষ্ঠ হুগলির আর এক বহিষ্কৃত তৃণমূল যুবনেতার সঙ্গেও আর্থিক লেনদেন হয়েছিল তাঁর।
ইডি সূত্রে খবর, এর আগে এই আর্থিক লেনদেনের কথা ইডির কাছে স্বীকার করে নিয়েছিলেন কুন্তল। তবে তিনি জানিয়েছিলেন, ‘কালীঘাটের কাকু’র থেকে ওই টাকা ধার হিসাবে নিয়েছিলেন তিনি এবং পরে টাকটি ফেরতও দিয়ে দেন। যদিও সুজয় নিজে এই লেনদেন প্রসঙ্গে তেমন কিছু জানাননি।