দিল্লিতে রাতভর আচমকা বৃষ্টিতে সামান্য স্বস্তি
বায়ু দূষণের জেরে দিল্লি রাজধানী এলাকাকে বলা হচ্ছে গ্যাস চেম্বার। দূষণ নিয়ন্ত্রণে দিল্লিতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টি’ নামানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে অরবিন্দ কেজরীবাল সরকার। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার রাত এবং শুক্রবার ভোরে দিল্লিতে আবহাওয়ার দেখা গেল আকস্মিক পরিবর্তন। রাতভর রাজধানীর বেশ কয়েকটি এলাকায় হল হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত। প্রতিদিন যেভাবে দিল্লির দূষণ পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছিল, তা সাময়িকভাবে বন্ধ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বস্তুত, শুক্রবার সকালে দিল্লি রাজধানী এলাকার বায়ুর গুণমান সূচকে সামান্য উন্নতিও ধরা পড়েছে।
তবে, এই এক রাতের সামান্য বৃষ্টিতে বায়ুর গুণমানের বিশেষ পরিবর্তন হয়নি। কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ জানিয়েছে, শুক্রবারও দিল্লি এবং তার আশেপাশের অঞ্চলগুলির বায়ুর গুণমান ‘খুব খারাপ’ বিভাগেই রয়ে গিয়েছে। সিস্টেম অব এয়ার কোয়ালিটি ফোরকাস্টিং অ্যান্ড রিসার্চের তথ্য অনুসারে, অশোক বিহারে বায়ুর গুণমান সূচক ছিল ৪৬২, আরকে পুরমে ৪৬১, পঞ্জাবি বাগে ৪৬০ এবং আইটিও-তে ৪৬৪। গুরুগ্রামেও বায়ুর গুণমান রয়েছে ‘গুরুতর’ বিভাগেই, একিউআই ৪১৬। ফরিদাবাদ এবং নয়ডাতেও বায়ুর গুণমান সূচক, যথাক্রমে ৪৫৭ (গুরুতর) এবং ৩৭৫ (খুব খারাপ) রেকর্ড করা হয়েছে।
ইন্দিরা গান্ধী ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট এবং লোধি রোডে বায়ুর গুণমানের সামান্য উন্নতি হয়েছে। শুক্রবার সকালে এই দুই জায়গার একিউআই ছিল যথাক্রমে ৩৯১ এবং ৩৯৮। বায়ুর গুণমানে সেই রকম পরিবর্ত ধরা না পড়লেও, বৃষ্টিতে স্বস্তি পেয়েছেন দিল্লিবাসী। সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেছেন, “বৃষ্টির পর আজ আবহাওয়া বেশ ভাল রয়েছে। আগে সর্বত্র ধোঁয়াশা ছিল, কিন্তু আজ বেশ ভাল লাগছে। তবে, বয়স্ক ব্যক্তিদের অবশ্যই নিজেদের বিশেষ যত্ন নিতে হবে। ঘর থেকে বের হলে অবশ্যই তাঁদের মাস্ক ব্যবহার করা উচিত।