মৃতদের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকার সহায়তা ঘোষণা মমতার
ওড়িশার দুর্ঘটনাস্থলে যান বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'আমার সঙ্গে রেলমন্ত্রী আছেন, বালেশ্বরের ডি এম আছেন। রয়েছেন কলকাতা পুলিস কমিশনারও এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। এখন রাজনীতি করার সময় নয়। তাড়াতাড়ি আহতদের উদ্ধার করে দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। আমিও তিন বার রেলমন্ত্রী ছিলাম। এখনও পর্যন্ত আমার দেখা সবথেকে বড় দুর্ঘটনা এটা। এর আগে বিহারে হয়েছিল। আমার সময়েও হয়েছিল সেটা সিবিআইকে তদন্ত করতে দিয়েছিলাম। আজ পর্যন্ত রিপোর্ট পাইনি।'
মমতা এদিন আরও বলেন, 'বাংলা থেকে অনেক মানুষ রয়েছে। কেরালা থেকেও অনেক যাত্রী ছিলেন। রেলওয়ের এমন দুর্ঘটনা হলে রেলওয়ের সেফটি ডিভিশন হয়। তারাই তদন্ত করেন। অ্যান্টি কলিউশন ডিভাইস লাগানো থাকলে এই দুর্ঘটনা হত না। আমার রাজ্যের যারা মারা গিয়েছেন প্রত্যেককে ৫ লক্ষ টাকা দেব। বেশি আহতদের ১ লক্ষ টাকা এবং অল্প আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে দেব। ওড়িশা সরকার ও রেলওয়ের সঙ্গে সহযোগিতা করে সমস্ত কাজে সহযোগিতা করব। যদি রেল আহতদের পশ্চিমবঙ্গে পাঠাতে পারে আমি তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করব।' এমনকী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হলে কথা বলবেন বলেও জানান মমতা।
দুর্ঘটনার পরই একাধিক হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে। হাওড়ার হেল্পলাইন নম্বর - ০৩৩ ২৬৩৮২২১৭, খড়গপুরের হেল্পলাইন নম্বর - ৮৯৭২০৭৩৯২৫, ৯৩৩২৩৯২৩৩৯, বালেশ্বরের হেল্পলাইন নম্বর - ৮২৪৯৫৯১৫৫৯, ৭৯৭৮৪১৮৩২২, শালিমারের হেল্পলাইন নম্বর - ৯৯০৩৩৭০৭৪৬, চেন্নাইয়ের হেল্পলাইন নম্বর - ০৪৪ ২৫৩৩০৯৫২/০৪৪-২৫৩৩০৯৫৩/০৪৪-২৫৩৫৪৭৭১, ভদ্রক- ৮৪৫৫৮৮৯৯০০, কেওনঝড় রোড- ৮৪৫৫৮৮৯৯০৬, কটক- ৮৪৫৫৮৮৯৯১৭, ভুবনেশ্বর- ৮৪৫৫৮৮৯৯২২, খুরদা রোড- ৬৩৭০১০৮০৪৬।