রুজিরাকে আটকানোয় বিরক্ত মমতা
সোমবার বেলার দিকে দুই সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে দুবাই যাচ্ছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা নারুলা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু কলকাতা বিমানবন্দরে তাঁকে আটকায় অভিবাসন দফতর। রুজিরাকে বিমানে উঠতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। আর এরপরই জানা যায়, আগামী ৮ জুন রুজিরাকে আবার কলকাতায় সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির অফিসে ডেকে পাঠানো হয়েছে। রুজিরাকে বিমানবন্দরে আটকানো নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। আর এরই মধ্যে গোটা বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, ‘ওর মা খুব অসুস্থ। সুপ্রিম কোর্টের অনুমতি দেওয়া ছিল। , যদি ও কখনও বাইরে যায়, শুধু ইডিকে একবার জানাতে হবে।’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, অনেকদিন আগেই সে ইডিকে জানিয়েছিল। তখনই ইডি বলতে পারত, তুমি যেও না। কিন্তু বিমানবন্দরে গিয়ে হাতে নোটিস ধরানো হচ্ছে। বলা হচ্ছে, ৮ তারিখ তুমি এসো। অমানবিক জিনিস চলছে। এখন মানুষকে সাহায্য করার পরিবর্তে কীভাবে দানব-দৈত্যগিরি করা যায়, সেদিকে এদের চোখ।’ এরপরই বালেশ্বরের ট্রেন দুর্ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে মমতা বললেন, ‘একদিকে মৃত্যু মিছিল চলছে, কোনও লজ্জা নেই, কোনও সমবেদনা নেই। মৃত্যুর মিছিলের মধ্যে মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে, কীভাবে এটিকে ধামাচাপা দেওয়া যায়, সেই প্রতিযোগিতায় নেমেছে।’
জানা যাচ্ছে, কয়লা পাচার সংক্রান্ত মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডেকে পাঠানো হয়েছে ইডির অফিসে। প্রসঙ্গত, এটাই অবশ্য প্রথমবার নয়, এর আগেও দিল্লিতে ইডির অফিসে ডেকে পাঠানো হয়েছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় ও তাঁর স্ত্রীকে। সেই সময় অভিষেক দিল্লিতে ইডির অফিসে গিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসারদের মুখোমুখি হয়েছিলেন।