অমর্ত্য সেনের জমিজটে বিশ্বভারতীকে হুঁশিয়ারি মমতার ! সংগৃহীত ছবি
‘অমর্ত্য সেনের বাড়িতে হাত দিয়ে দেখুক, আমাকে তো চেনে না…’, এই বলেই ট্রেন থেকে দলীয় কর্মীদের দিকে তাকিয়ে হেসে ফেলেন মমতা। শুধু তাই নয়, ৯ মে অর্থাৎ রবীন্দ্র জয়ন্তীর দিন পর্যন্ত কীভাবে রবীন্দ্রসঙ্গীত বাজিয়ে উদযাপন করতে হবে, সেটাও বুঝিয়ে দেন তৃণমূল নেত্রী। অমর্ত্য সেনের বাড়ির সামনে কীভাবে অবস্থান করতে হবে, সেই পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। মূলত বাউল শিল্পী ও মহিলাদের নিয়ে অবস্থান করার কথা বলেছেন।
তৃণমূল বিধায়ক বিকাশ রায় চৌধুরী এদিন প্লাটফর্মে দাঁড়িয়ে কথা বলেন দলনেত্রীর সঙ্গে। পরে তিনি বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় পরামর্শ দিয়েছেন কীভাবে অবস্থান চলবে। রবীন্দ্র সঙ্গীত গানের মধ্যে দিয়ে প্রতিবাদ কর্মসুচি চালিয়ে যেতে হবে।’ এছাড়া আগামী ৯ মে বীরভূমে যাচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই দলীয় কর্মসূচির ব্যাপারেও এদিন কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেথেন মমতা।
শুক্রবার মালদহ থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে বিকাল ৪টে ৫ মিনিট নাগাদ ফেরার পথে বোলপুর স্টেশনে ট্রেন দাঁড়ালে কিছুক্ষণ মুখমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। সেখানেই মমতাকে বলতে শোনা যায়, ‘অমর্ত্য সেনের বাড়িতে হাত দিলে আমাকে তো চেনে না।’ সম্পত্তি নিয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে অমর্ত্য সেনের জটিলতা এখনও কাটেনি। আর সেই আবহেই মুখ্যমন্ত্রী আবারও অমর্ত্য সেনের পাশে দাঁড়ালেন। এর জেরে নোবেলজয়ীর পাশে দাঁড়িয়ে শনিবার প্রতীচীর সামনে বাউল ও লোকগীতি শিল্পীদের বসতে নির্দেশ দিয়েছেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা সিউড়ি বিধানসভার বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরীকে।
এদিন আবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে স্টেশনেই সাক্ষাৎ করেন মন্ত্রী এবং প্রশাসনিক কর্তারা। মিনিট ১২ তাঁর সঙ্গে কথা বললেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা এবং জেলার পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন। পুলিশ সুপারের হাতে উপহারও তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারকে মালদহের আম উপহার দেন। পাশাপাশি তিনি দু’জনকে দু’টি তোয়ালেও উপহার দেন।