মোবাইল থেকেই মিলবে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ! সংগৃহীত ছবি
দীর্ঘক্ষণ তল্লাশির পর অবশেষে পুকুর থেকে উদ্ধার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার মোবাইল। আরও একটি পেনড্রাইভের খোঁজে পুকুরে চলছে তল্লাশি। তদন্তকারীদের অনুমান, এই দুটি মোবাইল খতিয়ে দেখলেই একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতে আসবে। এদিকে সিবিআই জেরার মুখে ভেঙে পড়েছেন বিধায়ক।
৩২ ঘণ্টা হয়ে গেল। তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে এখনও রয়েছে সিবিআই। আর অবশেষে পুকুরে যে দুটি মোবাইল ফেলেছিলেন বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা, তার মধ্যে একটি মোবাইলের খোঁজ মিলল। রবিবার সকালে সাড়ে সাতটা নাগাদ বিধায়কের বাড়ি সংলগ্ন পুকুর থেকে মেলে একটি মোবাইল। আরও একটি মোবাইলের খোঁজ চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা। প্রসঙ্গত, ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের মধ্যেই তিনি পুকুরে ফেলে দেন নিজের দুটি মোবাইল ফোন। সেই ফোন উদ্ধারে তল্লাশি শুরু করে সিবিআই প্রতিনিধি দল। বছরের প্রথম দিন শনিবার ভোর থেকে পুনরায় জল ছেঁচার কাজ শুরু হয়। অবশেষে জল ছেঁচার পরই মিলল একটি মোবাইল।
শিক্ষা দফতরে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে আগেই বেঙ্গল টিচার্স ট্রেনিং কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বিভাস অধিকারীর নাম পেয়েছিল সিবিআই৷ মূলত ২০১১ থেকে ২০১৬-এর মধ্যে নিয়োগ দুর্নীতিতে এই তৃণমূল নেতার নাম তদন্তে উঠে এসেছে বলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর৷ বিভাস অধিকারীর বাড়ি এবং আশ্রমেও শুরু হয়েছে তল্লাশি৷
সিবিআই সূত্রে খবর, তিনি যখন কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের দায়িত্ব সামলেছিলেন, তখনই প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির সিংহভাগ হয়েছে। প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বীরভূমের নলহাটির বিভাস অধিকারীর নাম সামনে আসে। তাপস মণ্ডল দায়িত্ব পান বিভাস সরে যাওয়ার পর। বিভাস অধিকারী মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত৷ তাঁর সঙ্গে সরাসরি পার্থ চট্টোপাধ্যায়েরও যোগাযোগ ছিল বলে খবর৷