ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি গুজরাটে, এবার সতর্ক রাজস্থান
শক্তি কমিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে গুজরাটের কচ্ছের মাণ্ডবী ও জাখাউ বন্দর এলাকায় ১১৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিবেগে আছড়ে পড়ল ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’। একটা সময় গতিবেগ ছাড়ায় ১৪০ কিলোমিটার। মাঝরাত পর্যন্ত চলল ঝোড়ো হাওয়া, বৃষ্টির তাণ্ডব। লন্ডভন্ড দ্বারকা, সৌরাষ্ট্র, পোরবন্দর, কচ্ছ উপকূল চত্বর।
আহমেদাবাদ, গান্ধীনগর-সহ মোদি রাজ্যের সর্বত্রই তীব্র বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইছিল এদিন। সকাল থেকেই দানবের মতো ফুঁসছিল মহারাষ্ট্র ও গুজরাট সংলগ্ন আরব সাগর। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিপর্যয়ের প্রভাবে গুজরাটে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আরও ২২ জন জখম। গুজরাট সরকার জানাচ্ছে, সব মিলিয়ে ৫২৪টি গাছ উপড়েছে ‘বিপর্যয়’। বহু জায়াগায় উপড়েছে বিদ্যুতের খুঁটি, যার জেরে বিদ্যুৎহীন প্রায় ৯৪০টি গ্রাম।
আসলে গুজরাট সরকার এবং কেন্দ্র আগে থেকেই বিপর্যয়ের জন্য প্রস্তুত হচ্ছিল। ১৮টি বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে প্রস্তুত রেখেছিল প্রশাসন। তৈরি ছিল সেনা, নৌ ও বায়ুসেনা বাহিনী, ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনী। আগেভাগেই উপকূল চত্বর থেকে প্রায় এক লাখ মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় নিরাপদ দূরত্বে। দুর্গতদের জন্য রাজ্যজুড়ে ১৫১২টি শিবির তৈরি করে প্রশাসন। কমলা সতর্কতা জারি করা হয় মোরবি, জামনগর, রাজকোট, পোরবন্দর এবং জুনগড়ে। হলুদ সতর্কতা জারি গির সোমনাথ, অমরেলি, ভালসাদ, নবসারি, সুরত, ভরুচ, আনন্দ, সুরেন্দ্রনগর, আমেদাবাদ, গান্ধীনগর, মেহসানা, পাটন, বানসকণ্ঠ, সবরকণ্ঠে। লাল সতর্কতা জারি হয় কচ্ছ, সৌরাষ্ট্রে। প্রতি মুহূর্তে ঝড়ের আপডেট রাখেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল। মুখ্যমন্ত্রী প্যাটেলকে ফোন করে পরিস্থিতির খোঁজখবর নেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রশাসনের প্রস্তুতির পাশাপাশি ঝড় ক্রমশ দুর্বল হয়ে যাওয়ায় যে বিপুল ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছিল, সেটা অনেকটাই কমানো গিয়েছে।