বাংলায় আসার পথে ঝাড়খণ্ডকে ৩৫,০০০ কোটি টাকার উপহার মোদীর
শুক্রবার (১ মার্চ), বাংলায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার আগেই প্রতিবেশি ঝাড়খণ্ড রাজ্যকে ৩৫,৭০০ কোটি টাকার একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্প উপহার দিলেন তিনি। এর মধ্যে রয়েছে সিন্দ্রিতে অবস্থিত, ‘হিন্দুস্তান উরভারক অ্যান্ড রসায়ন লিমিটেড’-এর সারের কারখানার পুনরুজ্জীবন। এর আগে, গোরখপুর, রামাগুন্ডম এবং বারাউনিতে, তিনটি সার কারখানা পুনরুজ্জীবিত করা হয়েছে। এটি দেশের চতুর্থ পুনরুজ্জীবিত হওয়া সার কারখানা। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “এটা পূর্ব ভারতে সার কারখানাগুলি পুনরুজ্জীবিত করার জন্য আমাদের প্রচেষ্টার এক অংশ।
২০১৮ সালে সিন্দ্রি ফার্টিলাইজার প্ল্যান্ট ফের চালু করার প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন প্রদানমন্ত্রী মোদী। এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এটা ছিল মোদীর গ্যারান্টি। আজ এই গ্যারান্টি পূরণ করলাম।” প্রধানমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, এই সার কারখানা চালুর ফলে স্থানীয় যুবকদের কর্মসংস্থানের নতুন পথ খুলে গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর মতে, আত্মনির্ভর ভারত গঠনের যে লক্ষ্য তাঁর সরকার নিয়েছে, সেই যাত্রাপথে এই কারখানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি জানান, ভারতে প্রতি বছর ৩৬০ লক্ষ মেট্রিক টন ইউরিয়া সারের প্রয়োজন হয়। ২০১৪ সালে ভারত মাত্র ২২৫ লক্ষ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার উত্পাদন করেছিল।
সিন্দ্রির সার কারখানা ছাড়াও, প্রধানমন্ত্রী মোদী এদিন ঝাড়খণ্ডে তিনটি নতুন ট্রেনের যাত্রার সূচনা করেন। এই তিনটি ট্রেন হল, দেওঘর – ডিব্রুগড় ট্রেন, তাতনগর এবং বাদামপাহারের মধ্যে মেমু ট্রেন পরিষেবা এবং শিবপুর থেকে দূরপাল্লার মালবাহী ট্রেন। ঝাড়খণ্ডের ছাতরা জেলার উত্তর করণপুরা সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্টও দেশকে উৎসর্গ করেছেন। তেইশ বছর আগে, ১৯৯৯ সালের ৬ মার্চ তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী এই প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। এনটিপিসি জানিয়েছে, এদিন থেকেই এই সুপার থার্মাল পাওয়ার স্টেশনের প্রথম ইউনিটটি বাণিজ্যিকভাবে কাজ করা শুরু করল।