দেশবাসীকে চিঠি মোদীর
একদা ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম পরাধীন অনেক দেশকে উদ্বুদ্ধ করেছিল। এখন ভারতের প্রশাসনিক মডেল বিশ্বের অনেক দেশের কাছে মডেল হয়ে উঠেছে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর মতে, করোনার কঠিন সময়ে ভারতের সফল প্রচেষ্টার ফলে সব দেশ সাহস পেয়েছে। তারা ভারতের সহযোগিতাও পেয়েছে।
বার্তায় মোদী জানিয়েছেন, ১০ বছরে ২৫ কোটি মানুষকে দারিদ্রসীমার উপরে টেনে তুলেছে তাঁর সরকার। জনভিত্তিক সুশাসনের মতো অভিনব পরীক্ষা-নিরীক্ষা নিয়ে গোটা বিশ্বে আলোচনা হচ্ছে। মোদীর কথায়, ‘‘গরিবের ক্ষমতায়ন থেকে শুরু করে সমাজের প্রান্তিকতম মানুষের কাছে পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার অগ্রাধিকার ও আমাদের প্রচেষ্টা আজ গোটা বিশ্বের কাছে একটি উদাহরণ হয়ে উঠেছে।’’ তাঁর মতে, ভারতের উন্নয়ন ও উত্থান গোটা বিশ্বে ভারতের সহযাত্রী সব দেশের পক্ষেই ঐতিহাসিক সুযোগ। জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের পর থেকেই ভারতের ভূমিকাকে বিশ্ববাসী আরও বেশি স্বীকার করছেন। এখন ভারত ‘গ্লোবাল সাউথ’ গোষ্ঠীর এক গুরুত্বপূর্ণ কণ্ঠস্বর হিসেবে স্বীকৃত।
এই প্রসঙ্গে ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’ অভিযানের কথা উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। মোদীর দাবি, তাঁর সরকার যে ভাবে প্রযুক্তিকে গরিবদের ক্ষমতায়নে ব্যবহার করেছে ও প্রশাসনিক ব্যবস্থায় যে ভাবে স্বচ্ছতা আনার মাধ্যমে যে ভাবে গরিবের অধিকার সুনিশ্চিত করা হয়েছে তা আজ গোটা বিশ্বের কাছে এক উদাহরণ। তাঁর কথায়, ‘‘ভারতে সস্তায় ডেটা গরিব মানুষের কাছে তথ্য পরিবেশন ও অন্যান্য পরিষেবা পৌঁছে দেয়। ফলে সেটি এখন সামাজিক সাম্যের মাধ্যম হয়ে উঠেছে।’’