ছ’দিন ধরে প্রায় ২৫ লক্ষ টাকার বাদ্যযন্ত্র-সহ শিল্পীদের আটকে রাখার অভিযোগ । সংগৃ-হীত ছবি
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথিতে কথা দিয়েও বিচিত্রা অনুষ্ঠানে অভিনেত্রী না আসায় মিউজিক্যাল টিমের শিল্পীদের হেনস্থা এবং তাঁদের সাউন্ড সেটআপ ও ইনস্ট্রুমেন্ট আটকে রাখার অভিযোগ উঠল একটি ক্লাবের বিরুদ্ধে।
এদিকে মাঝরাতে দেবশ্রী রায়ের খোঁজ শুরু হয়। তিনি মঞ্চে না পৌঁছানোয় শুরু হয় ক্ষোভ। মঞ্চের কাছে যে সমস্ত শিল্পী ছিলেন তাঁরা চূড়ান্ত হেনস্তার শিকার হন বলে অভিযোগ। অভিযুক্ত বকশিশপুর স্পোর্টস এন্ড ওয়েলফেয়ার সোসাইটি। একদিন শিল্পীদের আটকে রাখার পর তাঁদের প্রায় পঁচিশ লক্ষ টাকার যন্ত্রাংশ আটকে রেখে নাকি ছেড়ে দেওয়া হয়। বলা হয়, অর্গানাইজারকে হাজির করাতে হবে, না হলে তাঁদের মুক্তি নেই। অর্গানাইজার সুমিত মাইতি কাঁথির ছেলে তাঁকে না ধরে অযথা কলকাতার এই শিল্পীদের হেনস্তা করা হচ্ছে। তাদের বাদ্যযন্ত্র ছাড়া হবে না কেন? এই প্রশ্ন ওঠে। জুনপুট কোস্টাল থানায় অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে দাবি সংগীত শিল্পীদের।দেবশ্রী এদিন বলেন, “আমি তো গিয়েছিলাম। কিন্তু ওরা পুলিশের পারমিশনই নেয়নি। জুনপুট কোস্টাল থানাও অনুষ্ঠানের কথা জানত না”। দেবশ্রী বলেন, “যেভাবে মিউজিশিয়ানদের আটকে রেখেছে সেটা তো অপরাধ। ওঁদের পরিবারের লোকজন তো কিডন্যাপের অভিযোগ করতে পারে। আমার নিজেরই খারাপ লাগছে।”
মিউজিশিয়ানদের ইনস্ট্রুমেন্ট আটকে রাখার ঘটনা নিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে। দেবশ্রী এদিন বিষ্ময় প্রকাশ করে বলেন, “পুলিশ এখনও কিছু করছে না কেন আমারও অবাক লাগছে। আমি দেখছি কী করা যায়।বাদ্যযন্ত্র আটকে রাখার ব্যাপারে স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা প্রাক্তন সভাধিপতি মধুরিমা মন্ডলের স্বামী মানবেন্দ্র মন্ডলের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। মানবেন্দ্র অবশ্য দাবি করেছেন, আটকে রাখার কথা ঠিক নয়। তিনি ক্লাবের একজন সদস্য মাত্র। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগও ঠিক নয়।