টানা বৃষ্টিতে জেলায় জেলায় আতঙ্ক নজর রাখছে নবান্ন
মঙ্গলবারই সব মিলিয়ে ১,২৫৯ জনকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র বাঁকুড়া জেলার ৯৭০ জন বাসিন্দাকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানাল নবান্ন। পরিস্থিতির দিকে ক্রমাগত নজরদারি চালাচ্ছে প্রশাসন। তবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে এই বৃষ্টি চলবে বলে জানাচ্ছে আবহাওয়া দফতর।
মঙ্গলবারের মতো আগামী ৪৮ ঘণ্টায় কোথাও কোথাও ভারী, কোথাও অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে। মঙ্গলবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুরের দু-একটি এলাকায় ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমানের কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করা হয়েছে। কলকাতা-সহ বাকি জেলাতেও বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টি হতে পারে। বুধ এবং বৃহস্পতিবারেও বর্ষণ চলবে। দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি, উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করা হয়েছে। মঙ্গলবার জলপাইগুড়ি, কালিম্পঙের দু-একটি এলাকায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারের কোথাও কোথাও ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। দুই দিনাজপুর, মালদহের দু-একটি এলাকায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে। দক্ষিণবঙ্গের মতো উত্তরের জেলাগুলিতেও বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। মঙ্গলবার নবান্নের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কোচবিহার, পূর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, পুরুলিয়া এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বৃষ্টি হয়েছে।
লাগাতার বৃষ্টি চলছে। তার মধ্যে দুর্গাপুর ব্যারেজ ও মুকুটমণিপুর জলাধার থেকে ছাড়া জলে উদ্বেগ বাড়ছে বাঁকুড়ায়। দ্বারকেশ্বর নদের জলস্তরের উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে। তার ফলে সোমবার রাত থেকেই জলের তলায় চলে যায় ওই নদের উপর থাকা একাধিক সেতু। ডিভিসির দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে ছাড়া জলে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে বড়জোড়া, সোনামুখী, পাত্রসায়ের এবং ইন্দাস ব্লকে। বাঁকুড়ার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া গন্ধেশ্বরী, দ্বারকেশ্বর, শিলাবতী, কংসাবতী-সহ বিভিন্ন নদীতে জল বেড়েছে। সোমবার রাত থেকে ফুঁসছে দ্বারকেশ্বর।