মোদীর পাশেই অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী জগন্মোহন
আলোচনা চালাচ্ছে তেলুগু দেশম পার্টির প্রধান চন্দ্রবাবু নায়ডুর সঙ্গেও। তবুও অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগন্মোহন রেড্ডির দল ওয়াইএসআর কংগ্রেস শুক্রবার নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে লোকসভায় বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেওয়ায় সিদ্ধান্ত নিল। পাশে দাঁড়াল বিজেপির। জগনের দলের সংসদীয় নেতা বিজয়সাই রেড্ডি শুক্রবার তাঁদের এই অবস্থানের কথা জানিয়েছেন।
দিল্লির আমলাদের ‘রাশ’ হাতে রাখার জন্য বৃহস্পতিবার মোদী সরকারের বিতর্কিত বিল সমর্থনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ওয়াইএসআর কংগ্রেস়। জগনের দলের ন’জন রাজ্যসভা সাংসদের সেই গুরুত্বপূর্ণ সমর্থনের জোরে সেই বিল পাশ করা বিজেপির পক্ষে অনেক সহজ হয়ে যাবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ। তবে বিরোধীরা অনাস্থা প্রস্তাব আনলেও মোদী সরকারের পতনের বিন্দুমাত্র সম্ভাবনা নেই। কারণ, ৫৪৩ সাংসদের লোকসভায় সরকারের পতন ঘটনার জন্য প্রয়োজন ২৭২ সাংসদের সমর্থন। বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সাংসদ সংখ্যা ৩৩২।
বুধবার বিরোধী দলগুলির জোট ‘ইন্ডিয়া’র হয়ে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করেন কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈ। বিআরএসের হয়ে অনাস্থা প্রস্তাবের নোটিস জমা দেন সাংসদ নামা নাগেশ্বর রাও। উল্লেখ্য যে, তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের দল বিআরএস ২৬টি বিরোধী দলের জোট ‘ইন্ডিয়া’র শরিক নয়। তবে সাম্প্রতিক অতীতে বহু বার বিজেপির বিরোধিতায় সরব হতে দেখা গিয়েছে তাদের।
ইতিহাস বলছে, স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে এই নিয়ে ২৮তম অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে সংসদে আলোচনা হতে চলেছে। অতীতে দেশের তিন প্রধানমন্ত্রী, মোরারজি দেশাই, ভিপি সিংহ এবং অটলবিহারী বাজপেয়ী বিরোধীদের আনা এমন অনাস্থা প্রস্তাবেই গদি হারিয়েছিলেন। ১৯৬৩ সালে প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর সরকারের বিরুদ্ধে প্রথম অনাস্থা প্রস্তাবটি এনেছিলেন জেবি কৃপালণী। এ ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী নরসিংহ রাওয়ের পর মোদীই দু’টি অনাস্থা জয়ের নজির তৈরি করবেন।