পয়লা চৈত্রেই বছরের প্রথম কালবৈশাখী?
চৈত্রের প্রথম দিনেই কালবৈশাখীর পূর্বাভাস। বজ্র-বিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে দুই বঙ্গেই।আলিপুর হাওয়া অফিস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার থেকে আবহাওয়ার অবনতি হবে। উত্তরবঙ্গে শিলাবৃষ্টি হতে পারে বলেও পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে রবিবার পর্যন্ত কলকাতায় ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বিকেলের দিকে কালবৈশাখী হতে পারে।
কালবৈশাখী হলে ঘণ্টায় ৫০-৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে কলকাতায়। ঝড়ের পাশাপাশি ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলেও পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। গতকাল দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে এদিন আকাশ মেঘলা থাকায় দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।বুধবার রাতের তাপমাত্রা নেমে গিয়েছিল ২৫.৬ ডিগ্রিতে। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ রয়েছে ৩৫ থেকে ৪৪ শতাংশ। ফলে এদিনও আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি বজায় থাকবে।
কলকাতার পাশাপাশি বজ্র বিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে রুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, পশ্চিম বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম-সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়। এই অঞ্চলের উপর দিয়ে ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে দমকা হওয়া বয়ে যেতে পারে বলেও পূর্বাভাসে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।অন্যদিকে রবিবার পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও। এর মধ্যে রয়েছে দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, দুই দিনাজপুর এবং মালদা।
উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির পাশাপাশি শিলাবৃষ্টির হতে পারে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও বিকেলের দিকে কালবৈশাখীর সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, পূবালি হাওয়ার সঙ্গে পশ্চিমী হাওয়ার সংঘাত চলছে। এর জেরে ঝাড়খণ্ড এবং বাংলার সীমানায় তৈরি হয়েছে নিম্নচাপ অক্ষরেখা। এর সঙ্গে দোসর হয়েছে একটি সক্রিয় ঘূর্ণাবর্ত। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে এই ঘূর্ণাবর্ত। সমুদ্র থেকে হু হু করে জলীয় বাষ্প টানছে এই ঘূর্ণাবর্ত। আর বর্তমানে তা ক্রমশ শক্তি বাড়াচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। এর জেরেই বজ্র বিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি বা কালবৈশাখী হতে পারে বলে পূর্বাভাসে বলে হাওয়া অফিস।