স্থগিত করা হলো তীর্থযাত্রা ! প্রতীকী ছবি
ইতিমধ্যেই প্রবল তুষারপাত কেদরনাথ এবং বদ্রিনাথ ধামে । এমন দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার জেরেই আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে এই দুই ধাম । পুণ্যার্থীরা তীর্থ ভ্রমণে এসে যাতে কোনোভাবেই বিপদে না পড়ে তার কারণেই এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন প্রশাসন বিভাগ । শনিবার মধ্যরাত থেকে তুষারপাত হচ্ছে কেদারনাথ এবং বদ্রিনাথে। তাই শ্রীনগর পুলিশ পুণ্যার্থীদের মাঝপথেই আটকে দিয়েছে। পুলিশের তরফে সকলকে নিরাপদ স্থানে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। শুধু তুষারপাতই নয়, তার সঙ্গে আবাহওয়াকে আরও দুর্যোগপূর্ণ করে তুলেছে বৃষ্টিও।
বীরভূম জেলার পশ্চিমাংশের জলবায়ু শুষ্ক ও চরম প্রকৃতির। পূর্বাংশের জলবায়ু তুলনামূলক মৃদু। গ্রীষ্মে তাপমাত্রার পারদ ৪০º সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যায়। শীতকালে আবার ১০º সেলসিয়াসের নিচেও নামে পারদ। সাধারণত, মার্চের মাঝামাঝি থেকে জুনের মাঝামাঝি পর্যন্ত থাকে উষ্ণ আবহাওয়া। জুনের মাঝামাঝি থেকে অক্টোবরের মাঝামাঝি পর্যন্ত বর্ষাকাল এবং অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে মার্চের মাঝামাঝি পর্যন্ত শীতল আবহাওয়া থাকে। জেলার পশ্চিমাংশের বৃষ্টিপাত পূর্বাংশের তুলনায় অধিক। বর্ষায় রাজনগর ও নানুরে বার্ষিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ যথাক্রমে ১৪০৫ মিলিমিটার ও ১২১২ মিলিমিটার।
শ্রীনগর পুলিশ সূত্রে খবর, চারধাম যাত্রায় যে সব পুণ্যার্থী এসেছিলেন তাঁদের উত্তরাখণ্ড এনআইটি এবং বদ্রীনাথ বাসস্ট্যান্ডের কাছেই আটকে দেওয়া হয়েছে। সেখানে পুলিশচৌকি বানানো হয়েছে। যাঁরা অনলাইনে বুকিং করেছেন এক রাত কাটানোর জন্য, তাঁদের রুদ্রপ্রয়াগ যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু যে সব পুণ্যার্থী রাত্রিবাসের জন্য হোটেল বুক করেননি, তাঁদের শ্রীনগরেই আটকে দেওয়া হয়েছে বলে শ্রীনগর পুলিশ জানিয়েছে।
জানা গেছে , আবহাওয়ার মান একটু ভালো হলেই ফের অনুমতি পাবে তীর্থযাত্রীরা । কেদারনাথে গত ১২ দিন ধরে হালকা হালকা তুষারপাত হচ্ছে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ৩০ এপ্রিল থেকে আরও ৪ দিন আবহাওয়া খারাপ থাকবে। প্রসঙ্গত, গত ২৫ এপ্রিল কেদারনাথ ধামের দরজা খুলে দেওয়া হয়েছিল পুণ্যার্থীদের জন্য। বদ্রীনাথ ধামের দরজা খোলা হয় ২৭ এপ্রিল। অন্য দিকে, ২২ এপ্রিল পুণ্যার্থীদের জন্য গঙ্গোত্রী-যমুনোত্রী ধামের দরজা খোলা হয় ।