গর্বের শিখর ছুঁলেন চন্দননগরের কন্যা পিয়ালি বসাক! সংগৃহীত ছবি
একের পর এক আট হাজারি শৃঙ্গ জয়ের কৃতিত্ব রয়েছে পিয়ালির ঝুলিতে ২০১৮ সালে পৃথিবীর অষ্টম উচ্চতম শৃঙ্গ মানাসুলু জয় করেন পিয়ালী, তারপর ২০২১ সালে সপ্তম উচ্চতম শৃঙ্গ ধৌলাগিরি জয়। ২০১৯ সালে এভারেস্টের কাছাকাছি গিয়েও ফিরতে হয়েছিল তাকে খারাপ আবহাওয়ার জন্য । ২০২২ সালের ২২শে মে অক্সিজেন ছাড়াই পৃথিবীর সর্বোচ্চ শিখরে ওঠেন পিয়ালী এবং তার দুই দিন পরেই পৃথিবীর চতুর্থ উচ্চতম শৃঙ্গ লোৎসে জয় করেন।
ফের গর্বের শিখর ছুঁলেন চন্দননগরের কন্যা পিয়ালি বসাক। অন্নপূর্ণার শিখর ছুঁয়ে ফেললেন পিয়ালি। বহু বাধাকে টপকে অসাধ্য সাধন বঙ্গ তনয়ার। পাহাড়ে চড়ার জেদ আর সর্বোপরি কঠোর সাধনা তাঁকে সহায়তা করেছে একের পর এক শৃঙ্গ জয়ের ক্ষেত্রে। এর আগে তিনি এভারেস্ট, ধৌলাগিরির শৃঙ্গ জয় করেছিলেন। পদে পদে বিপদের হাতছানি। সেই বিপদকে এড়িয়ে তিনি ধাপে ধাপে এগিয়ে যান শৃঙ্গের দিকে। এরপর জয় করলেন সেই শৃঙ্গ। আট হাজার মিটার উচ্চতার শৃঙ্গ জয় করে কার্যত রেকর্ড গড়লেন তিনি।
সোমবার সকাল ৮.৫০ মিনিটে পৃথিবীর দশম উচ্চতম ও দুর্গম শৃঙ্গে আরোহণ করেন চন্দননগরের পাহাড় কন্যা পিয়ালী। গত ৯ মার্চ অন্নপূর্ণা ও মাকালু পর্বত শৃঙ্গ জয় করার লক্ষে বেরিয়ে ছিলেন চন্দননগরের এভারেস্ট জয়ী পর্বত আরোহী পিয়ালী বসাক।
কোনও স্পন্সর এগিয়ে আসেনি তার জন্য। সরকার যদি সাহায্য করে তার দিকে তাকিয়ে ছিলেন এই পর্বতারোহী। কাঁটাপুকুরের বাড়িতে রয়েছেন অসুস্থ বাবা। সেই সঙ্গে মা ও বোনকে নিয়ে চারজনের সংসার। ওষুধ পথ্যের খরচ যোগাতে হিমশিম খেতে হয়। কিন্তু বাংলার পর্বত কন্যা পিয়ালী বসাককে দমিয়ে রাখা যায়নি। অন্নপূর্ণা শৃঙ্গ জয় করলেন পিয়ালী বসাক,আজ সকাল ৮.২৫ মিনিটে পৃথিবীর দশম উচ্চতম(৮০৯১ মিটার)ও দূর্গম শৃঙ্গে আহরোণ করেন চন্দননগরের পাহাড় কন্যা পিয়ালী।
চন্দননগরের পিয়ালীর রক্তে রয়েছে পাহাড়ে চড়ার নেশা। সেই নেশার বশেই একের পর এক শৃঙ্গজয় করে চলেছেন তিনি। ২০২২-এ অক্সিজেন ছাড়াই এভারেস্ট জয়ের জন্য অভিযানে বেরিয়েছিলেন তিনি। প্রতিকূলতার মধ্য দিয়েও বিনা অক্সিজেনে এভারেস্টের চূড়ার প্রায় কাছে পৌঁছে গিয়েছিলেন। কিন্তু আবহাওয়া প্রচণ্ড খারাপ থাকায় পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ জয়ের ১০০ মিটার আগে তাঁকে অক্সিজেন নিতে হয়েছিল ।