মঙ্গলের সকালে বেলুড় মঠ পরিদর্শন রাষ্ট্রপতির
মঙ্গলে বেলুড় মঠে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। সফরের দ্বিতীয় দিনেই নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী পৌঁছন বেলুড় মঠে। তাঁর আসার কারণে বেলুড় মঠ চত্বরে ছিল কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। রাষ্ট্রপতি পৌঁছনোর আগেই হাওড়া সিটি পুলিশের নগরপাল সহ উচ্চ পদস্থ পুলিশ কর্তারা প্রস্তুতি পরিদর্শনে যান মঠে।
এদিন সকালে ঘড়ির কাঁটায় আটটা বেজে ৪৬ মিনিটে বেলুড় মঠে পৌঁছন দ্রৌপদী মুর্মু। রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানান রাজ্যের মন্ত্রী বারবাহা হাঁসদা, রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সাধারণ সম্পাদক স্বামী সুবীরানন্দ, সহ সাধারণ সম্পাদক স্বামী বোধসরানন্দ, মন্ত্রী অরূপ রায়, জেলাশাসক ও পুলিশ কমিশনার। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে ছিলেন রাজ্যপাল সি বি আনন্দ বোস।
বেলুড়মঠে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ঠাকুর শ্রী রামকৃষ্ণদেবের মূল মন্দির, মা সারদা দেবীর মন্দির সহ স্বামীজি ও ব্রহ্মান্দজীর মন্দির পরিদর্শন করেন তিনি। পাশাপাশি অধ্যক্ষ মহারাজের সঙ্গেও কথা বলেন দ্রৌপদী মুর্মু।
বেলুড় মঠের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হাতে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ দেবের পূজার ফুল,প্রসাদ, মা সারদা দেবীর পূজিত সাল,শাড়ি। এছাড়াও ঠাকুর মা এবং স্বামীজীর উপর লেখা বই, মঠের পক্ষ থেকে বেশ কিছু স্মারক, ফল ও শাল উপহারস্বরূপ তুলে দেওয়া হয়েছে। ৯টা বেজে ১৭ মিনিটে বেলুড় ছেড়ে বেড়ি যান রাষ্ট্রপতি।
এদিন বেলুড় মঠ দর্শন ছাড়াও তাঁর কলকাতা ও শান্তিনিকেতনে আরও দুটি অনুষ্ঠান রয়েছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতা থেকে দ্বিতীয় হুগলি সেতু হয়ে সড়ক পথেই বেলুড়ে আসবেন রাষ্ট্রপতি। তাঁর এই যাত্রাপথকে নির্বিঘ্ন করতে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছিল সমগ্র যাত্রাপথ। বালির সমগ্র জিটি রোডের দু'পাশে দেওয়া হয়েছে বাঁশ ও শালখুঁটি দিয়ে শক্তপোক্ত ব্যারিকেড।
এদিন বেলুড় মঠের পক্ষ থেকেও বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয় মঙ্গলবার সকাল থেকে বেলা ১০টা পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির সেখানে থাকাকালীন সময়ে দর্শক ও ভক্তবৃন্দের প্রবেশে নিষেধ। উল্লেখ্য, এদিন সকালে সড়কপথেই রাষ্ট্রপতির কনভয় এসে পৌঁছায় বেলুড় মঠে।