মালদায় গ্রেফতার প্রাথমিক শিক্ষিকা । সংগৃহীত ছবি
জাল তফসিলি সার্টিফিকেট দেখিয়ে চাকরি পাওয়ার ঘটনায় আদালতের নির্দেশ অনুসারে মালদার মহকুমা শাসক পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। শনিবার ধৃত শিক্ষিকাকে মালদা জেলা আদালতে পেশ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মানিকচক থানার পুলিশ।
জাল জাতি শংসাপত্র জমা দিয়ে দেড়বছর চাকরি করার পর, পুলিশের হাতে গ্রেফতার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। ধৃত চাঁপা মণ্ডল মালদার মানিকচকের বাসিন্দা। পুলিশ সূত্রে খবর, ২০২১-এ হরিশ্চন্দ্রপুরের বর্নাহি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরিতে যোগ দেন চাঁপা। ২০২২-এ তাঁর নিয়োগকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়। আদালতের নির্দেশে মহকুমা শাসকের তদন্তে ওই শিক্ষিকার জাতি শংসাপত্র জাল প্রমাণিত হয়। এরপর মহিলার নামে মানিকচক থানায় এফআইআর দায়ের করেন মহকুমা শাসক। গতকাল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই নিয়ে স্কুল অথবা জেলা প্রশাসনের কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।২০২১ সালের অক্টোবর মাসে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার বর্নাহি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষিকা হিসেবে নিযুক্ত হন চাঁপা। জাল তফসিলি সার্টিফিকেট দেখিয়ে চাকরি পাওয়ার ঘটনায় আদালতের নির্দেশ অনুসারে মালদার মহকুমা শাসক পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন।
সেই ঘটনা সামনে আসতেই আদালতের নির্দেশে মালদহের মহকুমা শাসক পুলিশের কাছে ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। তারপরেই এ বিষয়ে তদন্তে নামে মানিকচক থানার পুলিশ। শেষ পর্যন্ত শনিবার গ্রেফতার করা হয়েছে চাঁপা মণ্ডলকে। ধৃত শিক্ষিকাকে শনিবার মালদহ জেলা আদালতে পাঠিয়ে পুরো বিষয়টির বিশদ তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।