ভারতের ‘সাধারণ নাগরিক’ হলেন রাহুল ! সংগৃহীত ছবি
শুক্রবার দিল্লি কোর্ট তাঁর এই পাসপোর্টের আবেদন মঞ্জুর করেছে। যদিও ১০ বছরের জন্য পাসপোর্ট চেয়ে আবেদন করেছিলেন রাহুল। মিলেছে তিন বছরের জন্য । মোদি পদবী নিয়ে কটাক্ষের জেরে অপরাধমূলক মানহানি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন রাহুল। তার জেরে চলে গিয়েছে তাঁর সাংসদপদ। হাতছাড়া হয়েছে সাংসদের জন্য বরাদ্দ বাসভবনও। একই সঙ্গে সাংসদ হিসেবে যে বিশেষ ডিপ্লোম্যাটিক পাসপোর্ট ছিল রাহুলের, সেটিও সমর্পণ করতে হয় তাঁকে। তার পর দেশের সাধারণ নাগরিক হিসেবেই পাসপোর্টের জন্য আবেদন জানান রাহুল।
যদিও আদালতে ধোপে টেকেনি স্বামীর এই দাবি। বরং আদালত জানায়, ২০১৮ সাল থেকে মামলাটি ঝুলে রয়েছে। তার পরও একাধিক বার বিদেশ গিয়েছেন রাহুল। উনি দেশ ছেড়ে পালাতে পারেন বা গা ঢাকা দিতে পারেন, এমন আশঙ্কাও নেই। ভ্রমণের অধিকারও নাগরিকের মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে বলে জানিয়ে দেয় আদালত। যদিও রাহুলকে ১০ বছরের জন্য পাসপোর্ট দিতে রাজি হননি অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বৈভব মেহতা। তিনি বলেন, "এটি একটি বিশেষ মামলা। ১০ বছরের জন্য পাসপোর্ট দেওয়া হবে না।" শেষ মেশ তিন বছরের জন্য রাহুলকে পাসপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি।
ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলাতেও নাম রয়েছে রাহুলের। তিনি বিদেশে গেলে তদন্তে তার প্রভাব পড়বে। বিজেপি-র ঘৃণার রাজনীতির মোকাবিলা করতে ভালবাসাকেই ভরসা করেন বলে মন্তব্য করেছিলেন। তার পর সান ফ্রান্সিসকো এবং নিউইয়র্কও যাবেন। স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে বক্তৃতাও করবেন।একই সঙ্গে সাংসদ হিসেবে যে বিশেষ ডিপ্লোম্যাটিক পাসপোর্ট ছিল রাহুলের, সেটিও সমর্পণ করতে হয় তাঁকে। তার পর দেশের সাধারণ নাগরিক হিসেবেই পাসপোর্টের জন্য আবেদন জানান রাহুল।