অভিষেকের নির্দেশের পরও হল না পুনর্নির্বাচন
বুধবার সকাল ১০-৫ টা পর্যন্ত গোসানিমারি ও সাহেবগঞ্জে পুনর্নির্বাচন হবে। কিন্তু এক্ষেত্রেও হল অন্যথা। বুধবার সকালে দেখা গেল ধু ধু করছে ফাঁকা মাঠ। কোথাও কোনও দলীয় কর্মীই নেই। দেখা গেল, কোনও লোক আসেননি ভোট গ্রহণ করাতে। সোমবার থেকে অভিষেকের ৬০ দিনের কর্মসূচি সাজিয়েছে তৃণমূল। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে মূলত অ্যাসিড টেস্ট করে নিতে চাইছে শাসকদল। এটি দলেরই একটি স্ট্র্যাটেজি। আসলে দুর্নীতি ইস্যুতে বিদ্ধ শাসকদলের কাছে এখন মুখ্য চ্যালেঞ্জ এমন এক জন দলের নেতাকে প্রার্থী করা, যাঁর স্বচ্ছ ভাবমূর্তি রয়েছে। জনসমক্ষে অন্তত তাঁকে তুলে ধরা যাবে। ‘জনসংযোগ যাত্রা’র শুরুতেই অভিষেক জানান, তিনি ভাল মানুষের খোঁজে পথে নামছেন। কিন্তু এই ‘ভাল মানুষের’ খোঁজ করতে গিয়েও বেঁধেছে গোল।
মঙ্গলবার সাহেবগঞ্জের সভা শেষে সিতাই গোঁসানিমারি হাই স্কুলের মাঠে কর্মসূচিতেই চরম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। অভিষেক বলেছিলেন, “মঞ্চে ব্যালট বাক্স রেখে যাচ্ছি। উপস্থিত তৃণমূল নেতা, কর্মী এবং সমর্থকেরা যেন নিজেদের প্রার্থী বাছাই শুরু করেন এবং মতামত জানান।” সবে বলে তিনি মঞ্চটা ছেড়েছিলেন। শীতলকুচি পর্যন্ত পৌঁছতেও পারেননি তিনি। তার মধ্যেই গন্ডগোল। ভোট দিতে মঞ্চের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। এমনকি ব্যালট বাক্স পর্যন্ত ভেঙে যায়।