নাম না করে মহুয়াদের নিশানা শাহের
লোকসভা ভোটের প্রচারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ যত বার বাংলায় এসেছেন, ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্নকাণ্ড নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। কৃষ্ণনগরের বহিষ্কৃত সাংসদ তথা এ বারের তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রকে সরাসরি আক্রমণ করেননি। কিন্তু মঙ্গলবার, কৃষ্ণনগর কেন্দ্রে ভোট সমাপ্ত হতেই টাকা নিয়ে প্রশ্নকাণ্ডে মহুয়াকে আক্রমণ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ। তবে এ বারও মহুয়ার নাম করেননি তিনি।
শাহ সভার শুরুতেই সিএএ নিয়ে মমতাকে আক্রমণ করেন। তাঁর অভিযোগ নাগরিকত্ব নিয়ে বাংলার মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছেন তৃণমূলনেত্রী। বাংলায় সিএএ হবেই, মুখ্যমন্ত্রী মমতার উদ্দেশে এই চ্যালেঞ্জ ছোড়ার পরেই শাহ চলে যান নানা ‘দুর্নীতি’ মামলায় তৃণমূলের প্রাক্তন এবং বর্তমান একাধিক নেতার গ্রেফতারি প্রসঙ্গে। সেখানে নাম না করে মহুয়াকেও নিশানা করেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কুন্তল ঘোষ, তাপস মণ্ডল, গোপাল দলপতিদের নাম ভুল করে বলেন, ‘‘এই অনুব্রত মণ্ডল, কুণাল ঘোষ, তাপস পাল, কুলপতি— কেউ চাকরির বিনিময়ে টাকা নিয়েছেন, কেউ গরু পাচার মামলায়, কেউ কয়লা পাচার মামলায় জেলে গিয়েছেন।’’
ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্নকাণ্ডে সংসদ থেকে বহিষ্কার করা হয় মহুয়াকে। কৃষ্ণনগর আসন থেকে মমতা আবার মহুয়াকে প্রার্থী করার পরে তাঁর একাধিক ঠিকানায় তল্লাশি চালায় সিবিআই। আলিপুরের রত্নাবলী অ্যাপার্টমেন্ট, কৃষ্ণনগরে তৃণমূল প্রার্থীর অফিস এবং করিমপুরের আনন্দপল্লিতে মহুয়ার ভাড়াবাড়িতে তল্লাশি চালান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। সিবিআইয়ের পদক্ষেপে হেনস্থা এবং প্রচারে বাধার অভিযোগ তুলে এবং নির্বাচনী বিধি চালু হওয়ার পর কেন্দ্রীয় এজেন্সির তদন্ত নিয়ে গাইডলাইন বেঁধে দেওয়ার দাবি করেছিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ও মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে চিঠি পাঠিয়েছিলেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া।