যুগ্মভাবে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছেন শুভম পাল
যুগ্মভাবে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছেন বর্ধমানের মিউনিসিপাল স্কুলের শুভম পাল। মাধ্যমিকে ৭০০-র মধ্যে ৬৯১ পেয়েছেন তিনি। নিজের এই সাফল্যের পুরো কৃতিত্ব তাঁর মাকেই দিচ্ছেন শুভম। বললেন, ‘প্রথমেই আমি মায়ের কথা বলব। আমাকে পড়াশোনায় সাহায্য করার কথা বলতে গেলে, প্রথমেই আমার মায়ের নাম বলতে হয়। অবশ্যই স্কুলের স্যররাও প্রতিমুহূর্তে আমাকে সাহায্য করেছেন।’ খেলাধুলা সেভাবে মন না থাকলেও, পড়াশোনার বাইরে গল্পের বই পড়তে বেশ পছন্দ করেন শুভম।
মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় দ্বিতীয় স্থানাধিকারী শুভম বলছেন, ‘সমাজে এমন বহু মানুষ রয়েছেন, যাঁরা অর্থের অভাবে, সাহায্যের অভাবে উপযুক্ত চিকিৎসার ক্ষেত্রে অনেকরকম অসুবিধা হয়।’ শুভম চান, সমাজের পিছিয়ে পড়া সেই সব মানুষকে নিঃস্বার্থভাবে সাহায্য করার জন্য। যারা ভবিষ্যতে মাধ্যমিক দেবেন, তাঁদের জন্য শুভমের পরামর্শ, পরীক্ষার্থীরা যেন পাঠ্যবই একেবারে খুঁটিয়ে পড়েন। তাঁর মতে, এটাই হল সাফল্যের জাদুকাঠি।
উল্লেখ্য, এবার মাধ্যমিকে পরীক্ষা দিয়েছিল ৬ লাখ ৮২ হাজার ৩২১ জন। তাদের মধ্যে পাশ করেছেন ৫ লাখ ৬৫ হাজার ৪২৮ জন। তফসিলি জাতির পড়ুয়াদের পাশের হার ৮২.৮৮ শতাংশ এবং তফসিলি উপজাতির পড়ুয়াদের পাশের হার ৭৬.০৩ শতাংশ। জেলাগুলির মধ্যে পাশের হারে প্রথমে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর। সেখানে পাশের হার ৯৬.৮১ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কালিম্পং, সেখানে পাশের হার ৯৪.১৩ শতাংশ। এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে কলকাতা, সেখানে পাশের হার ৯৩.৭৫ শতাংশ।