আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে পার্থকে কটাক্ষ কুন্তলের! সংগৃহীত ছবি
জেলবন্দি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাতে আংটি। বুধবার ভারচুয়াল শুনানিতে ওঠে এই প্রসঙ্গ। নিয়মবিরুদ্ধ কাজ কীভাবে করলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী, তা জানতে প্রেসিডেন্সি জেল সুপারকে তলব করা হয়েছে। এই ইস্যুতেই এবার মুখ খুললেন নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত বহিষ্কৃত যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ। তাঁর খোঁচা, “আমার হাতে আংটি নেই, ঘামাচি আছে।”
জেলের নিয়ম ভেঙে পার্থ কী করে তাঁর হাতের আংটি পরে আছেন, তা নিয়ে শুনানি চলাকালীনই বিস্ময় প্রকাশ করেছিলেন বিচারক। পরে পার্থবাবু সেই আংটি খুলেও রেখেছেন। ঠিক তার পরের দিন সকালেই আংটি নিয়ে মন্তব্য করেন কুন্তল।প্রেসিডেন্সি জেলে তখন পুলিশের গাড়ি থেকে সবে নামছিলেন। কুন্তলকে প্রশ্ন করা হয়, ‘‘সুপ্রিম কোর্টে স্থগিতাদেশ নিয়ে কী বলবেন’’? এ-ও জানতে চাওয়া হয়, নিয়োগ মামলায় সম্প্রতি গ্রেফতার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার সঙ্গে কি তাঁর কোনও সম্পর্ক আছে? জবাবে কিছুটা হাসি মুখেই দু’হাত দেখিয়ে কুন্তল বলেন, ‘‘আমার হাতে আংটি নেই। তবে ঘামাচি আছে।’’
এক বার নয়, গাড়ি থেকে নেমে আদালতে ঢোকার আগে আরও একবার একই কথা বলতে শোনা যায় কুন্তলকে। রাজনীতির পর্যবেক্ষকরা নিশ্চিত কুন্তলের মন্তব্যের লক্ষ্য পার্থবাবুই। অনেকে আবার কুন্তলের মন্তব্যের বিশ্লেষণ করে এমনও বলছেন, ওই কথার মধ্যে দিয়ে আসলে কুন্তল বলতে চেয়েছেন তিনি ‘প্রভাবশালী’ নন। পার্থবাবুর মতো তাঁর হাতে আংটি রাখতে দেওয়া হয়নি। কিন্তু এই প্রবল গরমে তাঁর হাতে ঘামাচি বেরিয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্সি জেলের একই ব্লকে থাকছেন কুন্তল এবং পার্থ। পয়লা বাইশ নামের ওই ব্লক সাধারণত ভিআইপি বন্দিদের জন্য বলেই পরিচিত। বিশ্লেষকেরা প্রশ্ন তুলছেন, তবে কি সেখানে জেলের নিয়ম ভেঙে প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থবাবুর জন্য বিশেষ ব্যবস্থার দিকেই ইঙ্গিত করেছেন কুন্তল? জীবনকৃষ্ণ প্রসঙ্গে প্রশ্ন নিয়ে তাই কি তিনি বলতে চেয়েছেন যে তিনি ‘প্রভাবশালী’ নন। উত্তর অবশ্য কুন্তলই জানেন। বৃহস্পতিবার কুন্তলের সঙ্গে নিয়োগ মামলায় অভিযুক্ত তাপস সাহাকেও আনা হয় আলিপুরের সিবিআই কোর্টে।