ফের বড়সড় বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের মুখে রাজ্য?
বাংলায় তো কিছু কিছু জায়গায় ইতিমধ্য়েই পারা ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের গণ্ডিও পার করে ফেলেছে। এখনই রেহাই নেই তাপপ্রবাহের হাত থেকে। বলছে হাওয়া অফিস। অচিরেই আরও বাড়বে গরম। পূর্বাভাস এমনটাই। মে এবং জুন মাসে এই তাপমাত্রা যদি আরও বাড়তে থাকে তাহলে বিদ্যুতের চাহিদা পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ পর্ষদের এলাকায় ১২ থেকে ১৩০০০ মেগাওয়াট ছাড়িয়ে যাবে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। এখানে সিইএসসি এলাকায় বিদ্যুতের চাহিদা ৫০০০ মেগাওয়াট ছুঁয়ে যাবে বলেই মনে করছেন বিদ্যুৎ দফতরের নিচু তলার কর্মীরা।
গত বছর ১৬ জুন সিইএসসি এলাকায় বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ২৬০৬ মেগা ওয়াট। এটাই ছিল গতবছর সর্বোচ্চ চাহিদা। সেখানে এ বছর এই ২৬ এপ্রিলেই বিদ্যুতের চাহিদা দাঁড়িয়েছে সংশ্লিষ্ট এলাকায় ২৭২৮ মেগাওয়াট। অন্যদিকে, রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের অধীনস্থ এলাকায় গত বছর ১৮ জুন তারিখে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ৯২০০ মেগাওয়াট।
অর্থাৎ গত বছর জুন মাসে বিদ্যুতের পাহাড় প্রমাণ চাহিদা যে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি করেছিল সেটা এ বছর এপ্রিলেই ছাড়িয়ে গিয়েছে। মে এবং জুন মাসে বিদ্যুতের চাহিদা কোন জায়গায় গিয়ে দাঁড়াবে সেটা নিয়ে রীতিমতো চিন্তিত বিদ্যুৎ দফতর। যেভাবে বিদ্যুতের চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে, যেভাবে বিদ্যুৎ দফতর এবং সিইএসসিকে সঠিক তথ্য না দিয়ে এসি কেনার প্রবণতা বাড়ছে তাতে বড়সড় বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন খোদ বিদ্যুৎ দফতরের নিচু তলার কর্মীরাই।