আসছে সুপার সাইক্লোন ‘সিত্রাং’ !
বাংলার আকাশে ফের দুর্যোগের ঘনঘটা। দুর্গাপুজো (Durga Puja), লক্ষ্মীপুজোর (Lakshmi Puja 2022) পর এবার কালীপুজোতেও (Kali Puja 2022) প্রবল বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা বঙ্গে। নেপথ্যে সুপার সাইক্লোন (Super Cyclone)। কানাডার সাসকাচোয়ান ইউনিভার্সিটির আবহাওয়া বিষয়ক একটি গবেষণা জানাচ্ছে, আগামী ২৫ অক্টোবরের মধ্যে এ দেশের একাধিক রাজ্যে আছড়ে পড়তে চলেছে সুপার সাইক্লোন। যার গতিবেগ হবে ঘণ্টায় ২৫০ কিলোমিটার। তবে এর প্রভাবে ২৪ অক্টোবর কালীপুজোর দিন পণ্ড হবে কিনা, তা নিয়ে এখনও কোনও পূর্বাভাস দেয়নি আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
ইতিমধ্যেই রাজ্য থেকে বর্ষা বিদায় নিয়েছে। পুজোর মধ্যেও কলকাতা এবং দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে বৃষ্টি হয়েছে। তবে তা সত্ত্বেও কোনওভাবেই বৃষ্টির ঘাটতি মেটেনি চলতি মরশুমে। এর মধ্যেই আবার কালীপুজোর সময় বঙ্গে সুপার সাইক্লোনের পূর্বাভাস দিচ্ছে মার্কিন গবেষণা সংস্থা। আবহাওয়াবিদদের একাংশের মতে অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে বঙ্গোপসাগরে দু'টি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তার মধ্যে একটি নিম্নচাপ সুপার সাইক্লোনে পরিণত হতে পারে। অপরদিকে ১৭ থেকে ১৮ অক্টোবরের মধ্যে আন্দামান সাগরে আরও একটি নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার কথা। যেটিও সাইক্লোনের আকার ধারণ করতে পারে আগামী ১৯ অক্টোবরের মধ্যে। ফলে আশঙ্কা করা হচ্ছে দীপাবলি উৎসবের প্রাক্কালেই বঙ্গে ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব চলতে পারে। যদিও এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত আবহাওয়া দফতরের তরফে নিশ্চিতভাবে কিছু বলা হয়নি।
মার্কিন গবেষণা সংস্থার পূর্বাভাস অনুযায়ী, বঙ্গোপসাগর এবং আন্দামান সাগরের নিম্নচাপের প্রভাবে অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে সবকটি রাজ্যেই সাইক্লোনের প্রভাব পড়বে। উপকূলবর্তী অঞ্চলে জলচ্ছ্বাসেরও সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ নিয়ে কোনও স্পষ্ট ইঙ্গিত মেলেনি। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ১৭ অক্টোবরের আগে ঘূর্ণিঝড়ের অবস্থা কিংবা গতিপথ নিয়ে স্পষ্টভাবে কিছু বলা সম্ভব নয়।
বুধবার সকালে কলকাতায় আংশিক মেঘলা আকাশ। বিক্ষিপ্তভাবে দিনের বিভিন্ন সময়ে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে বলে পূর্বাভাস। আপেক্ষিক আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি আরও ভোগাবে। মঙ্গলবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৪.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল। রাতের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৫.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন আপেক্ষিক আর্দ্রতা থাকবে ৯৫ শতাংশ। মঙ্গলবার আলিপুরে বৃষ্টি হয়েছে ৮.২ মিলিমিটার।
পাশাপাশি উপকূলের জেলাগুলি যেমন দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, দুই ২৪ পরগণায় বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা বাড়বে। বৃষ্টি বন্ধ হলেই বাড়বে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি।