কেষ্ট-কন্যার চোখে জল । সংগৃহীত ছবি
খাওয়াদাওয়াতেও বিশেষ রুচি নেই। ইডির আধিকারিকদের তিনি বারবার আর্জি জানিয়েছেন, তাঁকে যেন বাবা অনুব্রত ও বান্ধবী সুতপার সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়। নিদেনপক্ষে জেলবন্দি বাবা বা বাইরে থাকা ঘনিষ্ঠ বান্ধবীর সঙ্গে কথা বলতে দেওয়া হোক তাঁকে। ইডি সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, জেরা পর্বে সুকন্যা বারবার তদন্তকারীদের একটাই কথা বলছেন।
কোটি কোটি টাকার বিপুল সম্পত্তি এবং নিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বড় অঙ্কের আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে বিন্দুবিসর্গ জানা নেই তাঁর। তদন্তকারীদের প্রশ্নোত্তরের সময়ে কোনও কোনও সময়ে কেষ্ট-কন্যার চোখে জলও দেখা গিয়েছে। বারবারই তদন্তকারীদের বলার চেষ্টা করেছেন, লেনদেন নিয়ে সব জানেন তাঁর বাবা অনুব্রত ও 'মণীশ আঙ্কল' ।
ইডি হেফাজতে থাকাকালীন মন শান্ত করতে তদন্তকারীদের কাছে একাধিক বই চেয়েছেন সুকন্যা। সূত্রের দাবি, তাঁর কাছে স্বামী বিবেকানন্দের 'পত্রাবলী' ও উদ্বোধন কার্যালয় থেকে প্রকাশিত 'শ্রীশ্রীমায়ের কথা' অখণ্ড রচনাবলী পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।মেয়ে যখন বারবার বাবার সঙ্গে দেখা করতে চাইছেন, তখন তিহার জেল থেকে আসানসোল সংশোধনাগারে ফেরার আবেদন জানিয়ে শনিবারও সুরাহা পেলেন না কেষ্ট।
গরুপাচারের কালো টাকাতেই কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি! কেষ্ট-কন্যাকে গ্রেফতারের পর এমনই বিস্ফোরক দাবি করল ইডি। ইডি সূত্রের দাবি, হেফাজতে থাকাকালীন জেরায় বারবার কান্নায় ভেঙে পড়ছেন সুকন্যা। বলছেন, বাবার সঙ্গে কথা বলতে চান। বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করতে চান। যদিও ইডির তরফে, অনুব্রত-কন্যাকে জানিয়ে দেওয়া হয়, তাঁদের হেফাজতে থাকাকালীন দেখা করা সম্ভব নয়।