তিস্তার গর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে জাতীয় সড়ক
তিস্তা ব্রিজ থেকে সিকিম যাওয়ার পথে বেশ কিছু জায়গায় বড় আকারের ধসের কারণে জাতীয় সড়ক নিচের দিকে বসে গিয়েছে। বুধবার দুপুর নাগাদ ২৮ মাইল এলাকায় ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের রাস্তায় ধস নামে। জাতীয় সড়কের বিভিন্ন জায়গা ধীরে ধীরে তিস্তার নদীগর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর।
মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে লোনক হ্রদ ফেটে তীব্র গতিতে জল নেমে আসে। পাশাপাশি হড়পা বানে এখনও পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১৪ জন। বৃষ্টি না থামলে তিস্তার ভয়াবহতা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশঙ্কা। মৃত এবং নিখোঁজের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সিকিম সরকার সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত ৩ হাজার পর্যটক রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় আটকে রয়েছেন। টানেলের ভিতর আটকে পড়েছেন শ্রমিকেরাও। সরকারি সূত্রে খবর, মঙ্গন জেলার চুংথাং এলাকায় তিস্তা স্টেজ ৩ বাঁধে ১৪ জন শ্রমিক কাজ করছিলেন। হড়পা বান নেমে আসায় সেখান থেকে নিরাপদ জায়গায় ফিরে যেতে পারেননি তাঁরা।
প্রশাসন সূত্রে খবর, সিকিমে হড়পা বানের বিপর্যয়ের বলি অন্তত ১৪ জন। এখনও ২২ জন সেনা জওয়ান-সহ অন্তত ১২০ জন নিখোঁজ। নিখোঁজ ব্যক্তির সংখ্যা ক্রমেই বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। বিশেষ করে পাকিয়ং জেলার রংপো, গ্যাংটক জেলার অন্তর্গত ডিকচু এবং সিংটাম এলাকা এবং মঙ্গন জেলার চুংথাং এলাকা থেকে আহত এবং নিখোঁজ ব্যক্তিদের খবর পাওয়া গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত ২৫ জনকে নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। চুংথাং-সহ উত্তর সিকিমের বেশির ভাগ এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্ক এবং ব্রডব্যান্ড পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে।