পূর্ণমন্ত্রিত্ব না পেয়ে এ বার প্রকাশ্যে মুখ খুলল হতাশ শিন্ডেসেনাও
মন্ত্রিত্ব নিয়ে এ বার ক্ষোভের কথা উগরে দিল বিজেপির আর এক জোটশরিক একনাথ শিন্ডের শিবসেনা। সোমবার শিবসেনার মুখ্যসচেতক শ্রীরাং বার্নের প্রশ্ন, পুরনো সঙ্গী হওয়া সত্ত্বেও কেন তাঁদের দলের কাউকে পূর্ণমন্ত্রী করা হল না? এনডিএ-র শরিক দলগুলির মধ্যে অনেক দল শিবসেনার তুলনায় কম আসন পেয়েও কী ভাবে পূর্ণমন্ত্রিত্ব পেয়েছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
সোমবার তৃতীয় এনডিএ সরকারের মন্ত্রিসভা নিয়ে শ্রীরাংকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “আমরা একটা পূর্ণমন্ত্রিত্ব আশা করেছিলাম।” অন্য শরিক দলগুলির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তাঁর সংযোজন, “চিরাগ পাসওয়ানের পাঁচ জন সাংসদ রয়েছেন। জিতনরাম মাঝিঁ একাই সাংসদ। জেডিএসের মাত্র দু’জন সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন। তা সত্ত্বেও দলগুলি একটি করে পূর্ণমন্ত্রীর পদ পেয়েছে। আমাদের সাত জন লোকসভার সাংসদ রয়েছেন।
প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, অজিতের দলকে একটি প্রতিমন্ত্রীর পদ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু অজিত শিবির জানায়, তাদের এক জনকে পূর্ণমন্ত্রী করতে হবে। যদিও তাদের এই আর্জি মানা হয়নি। এই বিষয়ে আপাতত ধৈর্য ধরার কথা বলেছেন মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত। আর বিজেপি বলছে, ভবিষ্যতে মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ হলে এনসিপির কথা মাথায় রাখা হবে।
কিন্তু নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যেরা শপথ নেওয়ার দিন থেকেই শরিকদের এই ক্ষোভ স্বস্তিতে রাখছে না পদ্মশিবিরকে। প্রসঙ্গত, সাবেক শিবসেনা ভেঙে বেশ কয়েক জন বিধায়ক এবং সাংসদকে নিয়ে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলেন শিন্ডে। বিজেপির সমর্থনে তিনি মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হন। অন্য দিকে, কাকা শরদ পওয়ারের এনসিপি ভেঙে একই ভাবে বিজেপির হাত ধরেন অজিত। শিন্ডে-বিজেপি সরকারে উপমুখ্যমন্ত্রী হন তিনি।