উদ্ধার করা হয় তলিয়ে যাওয়া ওই পর্যটককে । সংগৃহীত ছবি
শনিবার ও রবিবার বেশ ভালো পরিমানে ভিড় হয়েছে দিঘা সমুদ্রতটে। তবে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় ইতিমধ্যেই সমুদ্রের জলে নামতে বা স্নান করতে নিষেধ করা হয়েছে। অভিযোগ, তাও প্রশাসনের চোখ এড়িয়ে মানুষ নেমে যাচ্ছেন জলে। নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে সমুদ্রস্নানে নেমে তলিয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা পেলেন এক পর্যটক ।কয়েক মিনিটের প্রচেষ্টায় তাঁকে উদ্ধার করা হয়। এখানে উপস্থিত এক পর্যটক এই বিষয়ে জানান, “প্রশাসনের তরফ থেকে জলে নামতে বারন করা হয়েছে।
সেই সময় ঢেউয়ের সামনে পড়ে যান তিনি। এরপর নিজেকে সামলাতে না পেরে তলিয়ে যেতে থাকেন। সেই দেখেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত নুলিয়ারা জলে ঝাঁপিয়ে পড়েন ওই পর্যটককে উদ্ধার করতে । সেই কথা শুনে আমাদের মতো অনেক পর্যটকই জলে নামছেন না বা স্নান করছেন না। কিন্তু এক শ্রেণীর পর্যটক এসেছেন যারা নিয়মের কোনও তোয়াক্কা না করে সমুদ্রে নেমে পড়ছেন। সেরকমই এক পর্যটক আজ আমাদের চোখের সামনেই জলে ভেসে যেতে শুরু করেছিলেন।ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’র প্রভাব প্রত্যক্ষ ভাবে না পড়লেও সমুদ্র উত্তাল হওয়ার ও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর উপকূল এলাকায়। শনিবার বিকেলে প্রশাসনের তরফে ১৫ ই মে পর্যন্ত সমুদ্রে স্নান করতে বারন করা হয়েছে। এই নিয়ে মাইকিংও করেছে প্রশাসন। এবং বিচের কিছু ঘাট দড়ি দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে।
খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানার পুলিশ। ওই ব্যক্তিকে উদ্ধারের চেষ্টা চালায়। সমুদ্রের গভীরে তলিয়ে যাওয়ায় উদ্ধার কাজে বেগ পায় উদ্বারকারী দল। এরপর ক্রমশ রাত নেমে আসায় স্বল্প আলো এবং আবহাওয়া প্রতিকূল থাকায় উদ্ধারকাজে আরও দেরি হতে থাকে। অবশেষে সোমবার ভোররাতে ওই ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ইতিমধ্যে, মৃতদেহটি কাকদ্বীপ মহাকুমা হাসপাতালের পুলিশ মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তবে আবহাওয়া খারাপ থাকায় সতর্কতা জারি ও সমুদ্রস্নানে নিষেধাজ্ঞা জারি করার পরও কিভাবে ওই ব্যক্তি সি বিচে পৌছালো তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।