সিনেমা কে ঘিরেই তুমুল বিতর্ক রাজনৈতিক মহলে ! সংগৃহীত ছবি
'দ্যা কেরল স্টোরি' রাজ্যে ব্যান করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তিনি এই সিনেমাটির প্রদর্শনী পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞা জারি করেন রাজ্যে । মমতার ওই সিদ্ধান্তের পরই ক্ষোভ প্রকাশ শুরু হয়েছে বিজেপি শিবিরের তরফ থেকে। 'দ্য কেরালা স্টোরি' নিয়ে মমতার নির্দেশ সামনে আসার পর থেকেই এই নিয়ে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছে।
গতকাল পশ্চিমবঙ্গে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ সিনেমাটিকে নিষিদ্ধ করার ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ঘটনা জনগণকে আরো উত্তপ্ত করে তুলেছে। মমতার সংখ্যালঘু তোষণের মুখ আরো প্রকট হয়ে পড়েছে জনসমক্ষে। এবং তুমুল সমালোচনা চলছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে।সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন কেরালা স্টোরি নিয়ে যতটা আলোচনা হচ্ছে, দেখা যাচ্ছে তার চেয়ে বেশি আলোচনা চলছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবস্থান নিয়ে।এই আবহে মমতার বিরুদ্ধে সরব হলেন অভিনেত্রী তথা বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘ভারত বিরোধী’ এবং ‘হিন্দু বিরোধী’ বলে আখ্যা দেন।
লকেট বলেছেন, ‘এই সিনেমাটি আইএসআইএস জঙ্গি সংগঠন নিয়ে, অন্য কিছু নয়। এর অর্থ, এই সিনেমার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে তিনি কিছু লুকোতে চাইছেন।’
রুদ্রনীল বলেন, 'তৃণমূল ও সিপিএমের মধ্যে যে বোঝাপড়া রয়েছে, তাও ছবি ব্যানের পিছনে অন্যতম কারণ। ভারতে ধর্মান্তকরণের বিভিন্ন ঘটনা এখানে তুলে ধরা হয়েছে। কমিউনিস্ট শাসন কত মানুষের প্রাণ নিয়েছে, তাও এই ছবিতে তুলে ধরা হয়েছে। তা ঢাকার চেষ্টাও ছবি নিষিদ্ধ করার অন্যতম কারণ।'
বাঙালিদের নামে ভোট চান তবে মুসলিমদের নিয়ে তৈরি একটি সিনেমার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। তাঁর মুসলিম ভোট ব্যাঙ্ক যাতে অটুট থাকে, এর জন্য এই পদক্ষেপ করেছেন তিনি।’ এর আগে গতকালই এই সিনেমার সমালোচনা করেন মমতা। পাশাপাশি জানিয়ে দেন, রাজ্যের কোনও সিনেমা হলেই দেখানো যাবে না এই সিনেমা। এই নিয়ে মমচা বলেন, ‘এই সিনেমায় যে যব দৃশ্য দেখানো হয়েছে তা রাজ্যের শান্তি-শৃঙ্খলার মধ্যে বিপজ্জনক। এই সিনেমাকে ঘিরেই বর্তমানে রাজনৈতিক মহলে বচসা তুঙ্গে ।