জেলার দায়িত্ব তিন নেতা
সব জেলার জন্য পর্যবেক্ষক ঘোষণা করা হলেও কোচবিহারে কাউকে সরকারি ভাবে সংগঠন দেখার দায়িত্ব দেয়নি রাজ্যের শাসক দল। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতায় কালীঘাটের বাসভবনের বৈঠকে কোচবিহার জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৈমিকের সঙ্গে জেলার তিন নেতা— উদয়ন গুহ, রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ও পার্থপ্রতিম রায়ের নাম উল্লেখ করে সবাইকে ভাল করে জেলা দেখতে বলেন। তা নিয়েই দলীয় কর্মীদের একাংশের মধ্যে তৈরি হয়েছে ‘বিভ্রান্তি’।
কোচবিহার তৃণমূলে ‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব’ নিয়ে বার বার অভিযোগ উঠেছে। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কালীঘাটের বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে তিন নেতার নাম করেছেন, তাঁদের মধ্যেই ‘বিরোধ’ সামনে এসেছে সব থেকে বেশি। ‘ক্ষুব্ধ’ রাজ্য নেতৃত্ব একাধিক বার কোচবিহারে দলের জেলা সভাপতি পরিবর্তন করেছেন। বর্তমানে অভিজিৎ দে ভৌমিককে দলের জেলা সভাপতি করা হয়েছে। তার পরে, কিছুটা হলেও বিরোধ কমেছে। অভিজিৎ দলের সব পক্ষের নেতাদের নিয়েই চলার চেষ্টা করছেন। এই সময়ে নেত্রী তিন নেতার নাম আলাদা ভাবে উল্লেখ করায়, নতুন করে ‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব’ তৈরির আশঙ্কা করছেন দলের কর্মীদেরই একটি অংশ। তাঁদের দাবি, সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। এই সময়ে দলের একাধিক গোষ্ঠী সক্রিয় হয়ে ওঠার চেষ্টা করছে। তাতে নতুন করে দলে ‘উপ-দল’ তৈরির আশঙ্কা রয়েছে। যদিও দ্বন্দ্বের অভিযোগ কেউ মানতে চাননি। প্রত্যেক নেতার দাবি, কোচবিহার জেলায় দলে ‘দ্বন্দ্ব’ নেই। প্রত্যেক নেতাই বলেন, ‘‘দলনেত্রী যে ভাবে নির্দেশ দিয়েছেন, সে ভাবেই আমরা কাজ করবো।’’ গিরীন্দ্রনাথ বলেন, ‘‘কোথাও, কোনও দ্বন্দ্ব নেই। ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই বড় কথা।’’