রাজ্যজুড়ে চলবে দেদার ঝড়-বৃষ্টি-বজ্রপাত
রবিবার পর্যন্ত বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎসহ ঝড়-বৃষ্টির সতর্কতা জারি থাকছে। এর মধ্যে দেশে ঢুকছে বর্ষা। পরিস্থিতি অনুকূল থাকায় আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আন্দামানে বর্ষা ঢুকবে। তবে আন্দামানে আগাম বর্ষা ঢুকলেও কেরলে বর্ষা ঢুকবে দেরিতে। বাংলায় কবে বর্ষা ঢুকবে তা এখনও স্পষ্ট নয়।
মৌসম ভবন বলছে, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর জন্য অনুকূল পরিস্থিতি দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর, দক্ষিণ আন্দামান সাগর এবং নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ এলাকা। তাই আগামী ৪৮ ঘণ্টায় আন্দামানে ঢুকবে বর্ষা। আন্দামানে আগাম হলেও কেরলে বর্ষা ঢুকতে দেরি হবে। সাধারণত পয়লা জুন বর্ষা ঢোকে কেরলে। কিন্তু এই মরসুমে কেরলে বর্ষা ঢুকবে ৪ জুন।
বিক্ষিপ্তভাবে দক্ষিণবঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে অধিকাংশ জেলাতেই দিনের বেলায় গরম বাড়বে। থাকবে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি। বিকেল বা সন্ধ্যের দিকে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হবে। বৃষ্টির সঙ্গে ৩০ থেকে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত দমকা ঝোড়ো হাওয়া, শিলাবৃষ্টি এবং ও বজ্রপাতের সম্ভাবনা থাকছে। আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ জেলায় শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি থাকছে নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব বর্ধমানে। সঙ্গী হতে পারে বজ্রপাত ও দমকা ঝোড়ো হাওয়া। কালবৈশাখীর মতো পরিস্থিতি হতে পারে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম জেলায়। পুরুলিয়া পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানে তাপপ্রবাহের মতো পরিস্থিতি থাকবে।