পরণে পাঞ্জাবির বদলে রয়েছে টির্শাট । সংগৃহীত ছবি
পয়লা বৈশাখ বা বাংলা নববর্ষে নয়াদিল্লির তিহাড় জেলেই থাকতে হবে অনুব্রত ওরফে কেষ্ট মণ্ডলকে। সোমবার আইনজীবীদের কর্মবিরতির জেরে হল না তাঁর আবেদনের শুনানি। বীরভূমের বেতাজ বাদশা কেষ্টকে আবার জেল হেফাজত পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। গরুপাচার মামলায় ধৃত অনুব্রত মণ্ডলকে আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে নয়াদিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। ওইদিনই আদালতে তোলা হবে অনুব্রত মণ্ডলের হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকেও।
বাংলা ছাড়া হিন্দি-ইংরেজির কিছুই জানেন না অনুব্রত। এমনকি, বাংলাটা জানলেও টানা লিখতে পারেন না। বাধ্য হয়ে ইডি-কে তাই আনতে হয়েছে ট্রান্সলেটর, ইন্টারপ্রিটর। গরু পাচার কাণ্ডের তদন্তে এবার কেষ্ট কন্যা সুকন্যা সহ ১২ জনকে অনুব্রত মণ্ডলের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে চায় ইডি। অনুব্রত মণ্ডলকে ফের হেফাজতে নিতে চেয়ে আদালতের কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন ইডি-র আইনজীবী। যথারীতি ইডি-র এই আবেদনের বিরোধিতা করেন অনুব্রতর আইনজীবী। সওয়াল করেন, গত তিন দিনে তাঁর মক্কেলকে মাত্র কয়েক ঘণ্টা জেরা করেছে ইডি।
দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ হাজিরা দিলেন অনুব্রত মণ্ডল। তবে এদিন আর পায়ে হেঁটে নয়, এক্কেবারে হুইলচেয়ারে। পরণে পাঞ্জাবির বদলে রয়েছে টির্শাট । এদিন আদালত থেকে বের হওয়ার সময় শারীরিক অসুস্থতার কথা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল ।