চার্জশিটে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য । সংগৃহীত ছবি
গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের বিপুল অর্থ কারচুপির পদ্ধতি নিয়ে মুখ খুললেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী এবং বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা।সুজনবাবু শুক্রবার বলেন, “তৃণমূলের আমলে অভিনব লুঠেরাগিরির কারবার। যাতে প্যান কার্ড দিতে না হয়, যাতে ধরা না পড়ে তার জন্য এতকিছু। ব্যাঙ্ককে ফাঁকি দেওয়ারও কৌশল শুনছি। আসলে লুঠের উদ্ভাবনীর ক্ষমতা এত বেশি বলেই তো উনি দলের বীর, বাঘ। তাই তো উনি বিশাল বড় নেতা। টানা ১০ বছরের জেলা সভাপতি।”
অন্যদিকে রাহুল সিনহা সাংবাদিকদের বলেন, “আইটি অ্যাডভোকেট মনীশবাবুর পুরোপুরি সহযোগিতায় সুকন্যা মণ্ডলই এই সমস্ত বিষয়টা দেখাশোনা করত। অনুব্রত মণ্ডলের তো মাথায় হাওয়া কমে যায়। টাকা আনত অনুব্রত, তা সরানোর কাজ করত সুকন্যা। আর তাদের সহযোগিতা করত মনীশবাবু। এরা পুরো দুর্নীতির টাকা এদিক ওদিক করেছে। যাতে ধরা না পড়ে তার জন্য কায়দা করে ব্যাঙ্কে টাকা জমা দিত। সবরকম চালাকির আশ্রয় নিয়ে পাপের টাকা ব্যাঙ্কে টাকা ঢুকিয়েছে।”
বিপদে পড়লে কি আপনও পর হয়ে যায়? যাঁদের উপর ছিল যাবতীয় আশা-ভরসা, তাঁরাই কি না সবাই বয়ান দিচ্ছেন তাঁর বিরুদ্ধে! গোরু পাচার মামলায় ইডির চার্জশিট বলছে, বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ওরফে কেষ্টর বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হিসাবে তদন্তকারীরা ব্যবহার করেছেন তাঁরই আপনজন, আত্মীয়, ঘনিষ্ঠ কর্মচারীদের বয়ান। কে নেই এই তালিকায়? যেমন রয়েছেন কেষ্ট কন্যা সুকন্যা, অতি ঘনিষ্ঠ প্রাক্তন দেহরক্ষী সেহগল হোসেন, হিসেবরক্ষক মণীশ কোঠারি, তেমনই আছেন তাঁর বাড়ি ও বোলপুর পার্টি অফিসের কর্মচারী, এমনকী মামুলি সব্জি বিক্রেতা, বা পার্টির দেওয়াল লিখিয়েও।
অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে ইডির পেশ করা চার্জশিটে প্রকাশ্যে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। ইডি সূত্রে খবর, নগদে টাকা নিয়েই বিপাকে পড়েন অনুব্রত। তাঁর অ্যাকাউন্টে একই দিনে ৪৯ হাজার টাকা করে জমা পড়েছিল বলে ইডির দাবি। কোনও কোনও অ্যাকাউন্টে সেই টাকার পরিমাণ ছিল ৯৯ হাজার। গরু পাচারের কমপক্ষে ৪৮ কোটি টাকা অনুব্রতর অ্যাকাউন্টে যায় বলে চার্জশিটে দাবি করেছে ইডি।