তৃণমূলের হামলাকারী দুষ্কৃতিদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি । চিত্র: নিজস্ব
নিজস্ব সংবাদদাতা : পঞ্চায়েত নির্বাচনের গণনাকেন্দ্রের ভেতর সিপিআই(এম)'র কাউণ্টিং এজেন্ট সঞ্জয় হেমব্রমের উপর আক্রমণকারী তৃণমূলের হামলাকারী দুষ্কৃতিদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবিতে আমরাসোতা ফাঁড়িতে বুধবার বিক্ষোভ দেখালো সিপিআই(এম) রানিগঞ্জ এরিয়া কমিটি। আমরাসোতা (পাঞ্জাবি মোড়) ফাঁড়ির সামনে সঞ্জয় হেমব্রমের উপর আক্রমণের ঘটনায় আইসি'র ভূমিকায় ক্ষুব্ধ মানুষের বিক্ষোভ আছড়ে পড়ে। লাল পতাকা নিয়ে মহিলা পুরুষ নির্বিশেষে জবাব চায় সঞ্জয় হেমব্রমের উপর প্রাণঘাতী হামলাকারীদের গ্রেপ্তার হল না কেন ?
এদিন রানিগঞ্জ মোড় থেকে মিছিল করে পুলিশ প্রশাসনকে ধিক্কার জানানো হয়।
মিছিল থেকে আওয়াজ ওঠে, সঞ্জয় হেমব্রমের ওপর প্রাণঘাতী হামলায় অভিযুক্ত দুষ্কৃতিদের বিরুদ্ধে লঘু ধারায় মামলা করে বাঁচানোর চেষ্টা হচ্ছে কেন আমরাসোতা ফাঁড়ির পুলিশ জবাব দাও। মিছিল পুলিশ ফাঁড়ির সামনে শেষ হলে রাস্তায় দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ দেখায়। এর ফলে ৬০ নং জাতীয় সড়ক পৌনে এক ঘণ্টা রাস্তা অবরুদ্ধ হয়।
সিপিআই(এম)'র অভিযোগ, তৃণমূল ভোটগণণায় কারচুপি করে পুলিশ ও বিডিও'র সহায়তায় ব্যালট পেপার সরিয়ে দিতেই গণণাকেন্দ্রে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করে। কাউণ্টিং এজেন্ট সঞ্জয় হেমব্রম'র উপর প্রাণঘাতী হামলার সময় পুলিশ নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে।
এদিন বিক্ষোভ চলাকালীন পার্টিনেতা সুপ্রিয় রায়, সঞ্জয় প্রামাণিক, মঙ্গল হেমব্রম, নারান বাউরির প্রতিনিধিদল পুলিশ প্রশাসনের কাছে ডেপুটেশন দেয়।
পার্টি নেতৃবৃন্দ এদিন বিক্ষোভ সভায় প্রশ্ন তোলেন, গণণাকেন্দ্রের ভিতর তৃণমূলের প্রায় ২৫ জন দুষ্কৃতিদের বিরুদ্ধে লঘু ধারায় মামলা করা হল কেন? নেতৃবৃন্দ বলেন, সে দিনের আদিবাসী যুবক পার্টিকর্মী সঞ্জয় হেমব্রমকে নৃশংসভাবে খুনের চেষ্টার ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ অবিলম্বে প্রকাশ্যে আনতে হবে। বিডিও ও আমরাসোতা ফাঁড়ির পুলিশের মদতে বিনা পরিচয়পত্রে গণণাকেন্দ্রের ভিতর তৃণমূলের দুষ্কৃতিরা ঢোকে। এলাকার বালি, কয়লা পাচারকারীরা গণণাকেন্দ্রের ভিতর ঢুকে হামলা চালায়। অবিলম্বে খুনের চেষ্টায় অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। পুলিশ ঐ দুষ্কৃতিদের আড়াল করার চেষ্টা করলে সিপিআই(এম) বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে।